কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন : প্রশ্ন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর
বিএনপি কোন ঈদের পর আন্দোলন করবে প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সরকারি কাজে ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরে মন্ত্রী রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
এ সময় ঈদের পরে বিএনপি মহাসচিবের আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঈদের পরে, শীতের পরে, গ্রীষ্মের পরে, স্কুল ছুটির পরে, কুরবানির পরে, বর্ষার পরে-এ সব কথা চৌদ্দ বছর ধরে শুনে আসছি। মির্জা ফখরুল সাহেবের এ সব কথা মানুষ হাস্যকর বক্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর তিনি ঈদের পরে বলেছেন, কিন্তু কোন ঈদের পরে সেটি বলেননি। আমার প্রশ্ন-কোন ঈদের পরের কথা তারা বলছেন?
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করার কথা বললেও তাদের নেতারা যে এতে অংশ নিতে চায়, সেটি স্পষ্ট। অন্য নির্বাচনেও তাদের নেতারা স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়েছেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্যও নেতারা ছুটোছুটি করছেন, তাদের অন্দরমহলে নানা আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচনে আসলে আমরা বিএনপিকে স্বাগত জানাই। আমার ধারণা তাদের অনেকেই মুখোশ লাগিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আমরা চাই, তারা মুখোশ ছাড়াই অংশ নিক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশ না নেয়, তাদের নেতাদের অংশগ্রহণ তারা ঠেকাতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন এবং আনন্দমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার সকল সহযোগিতা দেবে, সব পর্যবেক্ষক নির্বাচন দেখবেন। আমরা আশা করি, বিএনপি অংশ নেবে। কারণ নির্বাচন থেকে এভাবে পালিয়ে যেতে এক সময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে, তখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সদ্যসমাপ্ত ইউরোপ সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহ্মুদ জানান, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্কাইভ ব্রিটিশ পাথে এবং ডাচ সংস্থা রেড অরেঞ্জের সাথে মুক্তিযুদ্ধের অডিও-ভিজুয়াল ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে দু’টি চুক্তি হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আর্কাইভের সমন্বয়কারী ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা, এসোসিয়েটেড প্রেস এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকেও ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসকে আরো সমৃদ্ধ করবে ও বিকৃতি থেকে রক্ষা করবে।
এ সময় সাংবাদিকরা ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন-র্যাব নিয়ে ডয়েচেভ্যালের একটি সংবাদ শেয়ার করা বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর অবগত নয় এবং তারা ঢাকাস্থ দূতাবাসকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে-এ প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানকার মার্কিন দূতাবাস যে বিভিন্ন ধরনের ছুটোছুটি করে, নানাজনের সাথে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে, যেগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেগুলোর সাথে যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্রব নেই, সেটি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বক্তব্যেই পরিষ্কার।
দূতাবাসের কোনো ব্যক্তিবিশেষ এটি শেয়ার করেছেন এবং বিরোধী দল এর প্ররোচনা দিয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের লোকজন রাত-বিরাতে দূতাবাসে গিয়ে তাদের হাত-পা ধরে তাদেরকে যে প্ররোচিত করে, যেটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, এ ঘটনায় সেটিই স্পষ্ট হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন