কয়লা গায়েব : বড়পুকুরিয়া খনির সব কর্মকর্তা জড়িত!

কয়লা গায়েব করে দেয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতিতে বড়পুকুরিয়া খনির সব কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কার্যক্রম শুরু এবং পাশের বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লা সরবরাহের সময় থেকে পেট্রোবাংলা কখনো কোনো হিসাব রাখেনি।

এর আগে নসরুল হামিদ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েবের ঘটনায় পেট্রোবাংলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মনে হচ্ছে বড়পুকুরিয়া খনির সব কর্মকর্তা এমন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েবের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা সংস্থার পরিচালক (খনন) কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এদিকে, বড়পুকুরিয়ার কয়লা গায়েবের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)তিন সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে কয়লা খনির ১৯ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দিয়েছে।

দুদকের অনানুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ ও অন্যরা ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা বিক্রি করে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এর আগে সোমবার দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তারা কয়লা খনির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেন- খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু কোল ইয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা। বাকি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টনকয়লার কোনো হদিস নেই।

এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিব উদ্দিন আহমেদ, জেনারেল ম্যানাজার (জিএম) আবুল কাশেম প্রদানিয়া, জিএম আবি তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী ও ডিজিএম খালেদুল ইসলামের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক।