কয়েক লাখ মুসলিমকে তাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আসাম
১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর থেকে যারা ভারতের আসামে অবস্থান করছে তাদের উচ্ছেদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আসাম। ইতিমধ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশও করেছে আসাম সরকার। তাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক লাখ মুসলিম সেখান থেকে বিতাড়নের শিকার হবেন। এ নিয়ে সেখানকার মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও আতঙ্ক কাজ করছে।
যারা আসামের নাগরিকত্ব পাবে না তাদের হয় বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে হবে না হলে কারাগারে বাস করতে হবে। এজন্য মেখানে বৃহদাকার বন্দিশালাও নির্মাণ করছে আসাম সরকার। আর বন্দিশালায় যারা থাকবে তাদের কোনো মর্যাদা থাকবে না, জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী তারা শুধু অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের সুযোগ পাবে তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
নতুন বছরের (২০১৮) ঠিক আগের দিন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম রাজ্যের সরকার ১৯ লাখ মানুষের একটি তালিকা (নাগরিকত্বের তালিকা) প্রকাশ করে। এর উদ্দেশ্যে হলো, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের আগে কারা আসামের বাসিন্দা ছিল তা শনাক্ত করা এবং যারা এর মধ্যে পড়বে না তাদের উচ্ছেদ করা।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অসম্পন্ন যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে ১৪ লাখ লোকের নাম বাদ পড়ে, যারা আসামেই বসবাস করে আসছে। সে সময় কর্মকর্তারা বলেন, চূড়ান্ত তালিকায় আরো কয়েক লাখ লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু ওই কর্মসূচি আসামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই সঙ্গে এ পূর্বাভাসও দিচ্ছে যে, ভারত হাজার হাজার লোককে রাষ্ট্রহীন করতে যাচ্ছে।
খসড়া তালিকাটি প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই আতঙ্কে ছিলেন ৪০ বছর বয়সী খান, যদিও তার জন্ম আসামেই। এমনকি তার মা-ও ভারতীয়। শুধু তার বাবা আফগান নাগরিক, যিনি অনেক বছর আগেই দেশে ফিরে গেছেন।
আগামী ৩১ মে সরকার যখন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে তখন বিদেশিদের তালিকায় আরও হাজার হাজার লোকের নাম যুক্ত হবে। যদিও তাদের ব্যাপারে কী করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বান্দ সেনোয়াল গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিদেশিরা সাংবিধানিক অধিকার হারাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন