খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ধারা জারি বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে অবরোধ চলছে

খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এই আদেশ জারি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।

এদিকে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে তিবাদ এবং নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় চলছে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ। বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে চলা জুম্ম ছাত্র-জনতার এ অবরোধে দুরপাল্লার সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও গাড়ি চলছে না। জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার পুড়িয়ে, গাছ কেটে ব্যারিকেড করা হয়। আলুটিলায় একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুরের শিকার হয়। বেড়াতে আসা পর্যটকরাও বিপাকে পড়েছেন। অনেকে সাজেক ফেরার পথে সড়কেই আটকে আছেন।

তবে, দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সমর্থনে খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলায় জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকে শনিবার(২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ।

খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় ৮ম শ্রেণির পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি এবং ছাত্র নেতা উক্যনু মারমাকে তুলে নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সেনা কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছে।

গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়িতে আয়োজিত নিপীড়ন বিরোধী মহাসমাবেশ থেকে তারা এই অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়। শনিবার ভোর থেকে খাগড়াছড়ি সদরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে জুম্ম ছাত্র জনতা পিকেটিং করছে।

অবরোধের সমর্থনে সকালে শহরের চেঙ্গী স্কায়াারে টায়ার জ্বালিয়েছে পিকেটাররা। অপরদিকে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের ছোটনালাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিযেছে জুম্ম ছাত্র জনতা।

অবরোধ সফল করতে খাগড়াছড়ি সদরের ফায়ার সার্ভিস এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়েছে ও গাছের গুড়ি ফেলেছে পিকেটাররা।

খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের ছোটনালা এলাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করছে জুম্ম ছাত্র জনতা।

খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের কুকিছড়া এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ পালন করছে জুম্ম ছাত্র জনতা।

অবরোধের সমর্থনে সকালে গুইমারা জোড়াব্রীজ এলাকায় (খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক) টায়ার জ্বালিয়ে জুম্ম ছাত্র জনতা পিকেটিং করছে। অবরোধের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে না।
গুইমারায় জোড়াব্রীজ এলাকায় খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করছে পিকেটাররা।

খাগড়াছড়ি-ঢাকা মহাসড়কের যৌথখামার এলাকায় জুম্ম ছাত্র জনতা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিজিবি সদস্যদের সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।

রামগড়ে ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করছে পিকেটাররা। বিজিবি সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে।

রামগড়ে ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করছে পিকেটাররা। বিজিবি সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে।

সড়ক রামগড়ে ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধে নেমেছে নারী শিক্ষার্থীরাও।

খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি ও মহালছড়ি-রাঙামাটি সড়কসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে জুম্ম ছাত্র জনতা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কেও অবরোধ পালনের খবর পাওয়া গেছে সকাল সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সিঙ্গিনালায় প্রাইভেট পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তিনজন বাঙালি যুবক কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী। উক্ত ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকী দু’জন এখনো পলাতক রয়েছে।

উক্ত ধর্ষণের প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র জনতা ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং পরদিন(২৫ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু অবরোধের পালনের দিনই রাতে জুম্ম ছাত্র জনতার অন্যতম নেতা উক্যনু মারমাকে সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ির মধুপুর বাজার থেক টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও হেনস্তা করে।

এরপর গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) পূর্বঘোষিত নিপীড়ন বিরোধী মহাসমাবেশ থেকে জুম্ম ছাত্র জনতা আবারো খাগড়াছড়ি জেলায় আজকের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।

খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ধর্ষণ নিপীড়নের বিচারের দাবিতে মহাবেশ থেকে জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকে পূর্ণদিবস সড়ক অবরোধ পালিত হচ্ছে। শনিবার ভোর ৫টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ণদিবস সড়ক অবরোধের সমর্থনে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা–চট্টগ্রাম দূরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না। অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পর্যটক ও পথচারী।

অবরোধের সমর্থনে ভোরে খাগড়াছড়ির সদরস্থ চেঙ্গী স্কোয়ার, জিরোমাইল, স্বনির্ভর সহ বেশ কিছু জায়গায় পিকেটিং করে গাছের গুড়ি ফেলে টায়ার ও গাছের গুড়ি পুড়িয়েছে অবরোধকারীরা। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে তা অপসারণ করে। তবে পৌর শহরের ভিতরে হালকা যান ইজি বাইক, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল করছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃদা বলেন, কিশোরীাে ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকে সমাবেশে আজকে সড়ক অবরোধ চলছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানে রয়েছি যাতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম এই আদেশ জারি করেন।

প্রশাসন জানায়, অবরোধ কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে পাহাড়ি ও বাঙালি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করেছে।

১৪৪ ধারা জারির ফলে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় চার বা ততোধিক মানুষের জমায়েত, মিছিল, সমাবেশ, মাইকিং ও অস্ত্র বহনসহ যেকোনো ধরনের উস্কানিমূলক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

পেট্রোল ঢেলে সড়কে আগুন, পিকেটারদের উল্লাস, পর্যটক ও শ্রমজীবীদের ক্ষোভ সড়কে আগুন জ্বালিয়ে যাত্রীবোঝাই গাড়ি আটকিয়ে ফেইসবুকিংয়ে ব্যস্ত ক’জন পিকেটার।

খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে পিকেটাররা নাশকতা উৎসবে মেতেছে। তারা সড়কে আগুন আতঙ্ক সৃষ্টি করে নিজেরা মোবাইলে ফেইসবুকিং নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এতে সকাল থেকে অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষ- যারা কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে গন্তব্যে ছুটছেন, তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাকে সামনে রেখে দুস্কৃতিকারীরা ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে।

বিভিন্ন সড়কে পিকেটাররা পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে সহিংসতা চালাচ্ছে। একটি গোষ্ঠী পাহাড়কে অস্থিতিশীল করতে গোপনে ছাত্রদের অর্থের যোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবরোধে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকে প্রায় ২ হাজার এবং রাঙামাটি শহরে সহশ্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। পর্যটকদের গাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনুরোধ করলেও অবরোধকারীরা তা মানছে না। পর্যটকদের অনেকেরই কর্মস্থলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকার কথা জানিয়েছেন।

কেবল পর্যটকই নয়, শ্রমজীবী মানুষরাও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। ঢাকাসহ জেলা বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা একাধিক যাত্রীবাহী বাস পথে আটকা পড়ায় পর্যটকসহ শত শত যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন পর্যটক ও শ্রমজীবী মানুষ।

গত বৃহষ্পতিবারও তারা এই একই কাজ করেছে। ফের সড়কে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ ডেকে জনভোগান্তি সৃষ্টির পেছনে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মী ও পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর ইন্ধন ও সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।

পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহনশীলতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি গতকাল বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি, সহাবস্থান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সকল ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষকে মানবিক মূল্যবোধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দুর্গা পুজাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ পাহাড়কে অশান্ত করা চেষ্টা করছে। ধর্ষণের ঘটনাকে সামনে রেখে দুস্কৃতিকারীরা ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে। পাহাড়ি-বাঙালির সুসম্পর্ক নষ্ট করতে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতারাও এতে ইন্ধন দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সর্ব মিত্র চাকমা খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা এবং এ ঘটনা কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি নিয়ে তিনি স্থানীয় জনগণকে আইনের প্রতি ভরসা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। ‘ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দিকে ধাবিত না করে ধর্ষকদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দিকে নজর দিতে হবে বলে তিনি তাঁর ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের দিন সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে আটক করে পুলিশ।

বর্তমানে তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার রাতে সঙ্গবদ্ধ ভাবে এক ৮ম শ্রএণীতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুম্ম ছাত্র জনতা এ সড়ক অবরোধের ডাক দেয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। একই সাথে থানায় মামলাও হয়েছে। মেয়ের পিতা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় এ মামলাটি রুজু করেছে।