খাগড়াছড়িতে টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রক শিক্ষক-কর্মচারী

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রক শিক্ষক-কর্মচারী। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি তারাও এখন ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েছেন। শুধু জড়িয়ে পড়েছে বললে ভুল হবে, তারা এখন রীতিমত টেন্ডার নিয়ন্ত্রক। গড়ে তুলেছেন টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের সিন্ডিকেট।

এ সিন্ডিকেটের দাপটে প্রকৃত ঠিকাদাররা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। তারা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে গোপনে সব কাজ বাগিয়ে নিচ্ছেন। কাজ না করে বিল উত্তোলন করে ফেলেছেন।

খাগড়াছড়িতে এখন কোন উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে টেন্ডার হয় না, হয় নিয়ন্ত্রণ। কোন কাজ কোন ঠিকাদার করবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কোন ঠিকাদার লটারিতে ভাগ্যক্রমে কাজ পেয়ে গেলেও তাকে সে কাজ ছেড়ে দিতে হয়।

ঠিকাদাররা প্রতি বছর সরকারি রাজস্ব দিয়ে লাইসেন্স নাবায়ন করেন কিন্তু কাজ পান না। আবার কোন কাজ লটারিতে উঠলে দেখা গেছে, কাজটি কেউ আরো ৬মাস আগে করে ফেলেছেন। এমন কি বিলও উত্তোলন করে ফেলেছেন। এবারের জুন ক্লোজিং বিশেষ করে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত অধিদপ্তরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খাগড়াছড়িতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে সড়ক বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এলজিইডি’র থেকে কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজের কর্মস্থলে না গিয়ে সারা দিন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঘুরে বেড়ান। আর তার কর্মস্থল চলে বর্গা শিক্ষক দিয়ে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।

এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির এক কর্মচারী ও সরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক টেলিটকের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারি কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে একটি ফার্মের কর্মচারী সিদ্দিক কান্ডে রীতিমত অবাক খাগড়াছড়ি ঠিকাদাররা। অভিযোগ রয়েছে, নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হাতিয়ে নিয়ে নয় ছয় করেন সিদ্দিক সিন্ডিকেট।

এ দিকে কিছু অখ্যাত পত্রিকা ও নিববন্ধনবিহীন অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গণপূর্ত বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে পেশাজীবী সাংবাদিকরা বিব্রত। নাম প্রকাশ না শর্তে খাগড়াছড়ির একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, কারা সাংবাদিকতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে কাজ হাতিয়ে নিয়েছেন তা তদন্তের দাবি জানান তিনি।