খাগড়াছড়ির গুইমারায় চাঁদা দাবি করায় দুই মুখোশ সদস্যকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলায় চাঁদা দাবি করায় দুই মুখোশ সদস্যকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। জেলার গুইমারায় চাঁদার দাবিতে এক পাহাড়ি জীপ গাড়ির চালককে চড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনা মদদপুষ্ট দুই মুখোশ সদস্যকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকার জনতা।

সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টার সময় গুইমারার সদরের বুদুংপাড়া এলাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন আগে উগ্য মারমা(কোম্পানি) নামে এক ব্যক্তি একটি জীপ গাড়ি কেনেন। সোমবার দুপুরে ওই গাড়িটির চালক ক্যজচাই মারমা গাড়িটি নিয়ে বুদুং পাড়া এলাকার দিকে গেলে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে মুখোশ সদস্য মার্টিন চাকমা ও রিপন চাকমা গাড়িটিকে আটকায় এবং প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করে।

এ সময় গাড়ির চালক ক্যজচাই মারমা তাদেরকে বলেন, মাত্র দু’দিন আগে উগ্য কোম্পানি এ গাড়িটি কিনেছেন। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িটি চালাচ্ছেন। চাঁদার বিষয়ে মালিকের সাথে কথা বলতে মুখোশদেরকে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু মুখোশরা তার কথা না শুনে তাকে (চালককে) চড়-থাপ্পড় দেয় এবং গাড়িটি আটকে রাখার চেষ্টা করে।

পরে এ খবর পেয়ে এলাকার উত্তেজিত ৪০/৫০জন লোক সেখানে গিয়ে মুখোশদেরকে ধরে ফেলেন এবং উত্তম-মধ্যম গণধোলাই দেন।

এরপর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মুখোশ সদস্যদের উদ্ধারের আটক করে নিয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত স্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। তবে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উক্ত দুই মুখোশ সদস্যের মধ্যে মার্টিন চাকমার বাড়ি রাঙামাটির কাউখালী ও রিপন চাকমার বাড়ি মাটিরাঙ্গার ব্যাঙমারা বলে জানা গেছে।

তারা(মুখোশ ধারীরা) এক পক্ষ এজেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গুইমারা সদর এলাকায় অবস্থান করে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে জোর জবরদস্তি মূলকভাবে চাঁদা আদায়সহ নানা অপকর্ম করে আসছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ করেছেন।

গুইমারা থানার কর্তৃপক্ষ জানান, চাদাবাজ ২জনকে সেনাবাহিনী আটক করেছে শুনেছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত চাদার দাবির অভিযোগে জনতা হাতে ধরা পরা ব্যক্তিদের এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। বুঝিয়ে দেওয়া হলে বিহিত ব্যবস্থা করবে।