খাগড়াছড়ির মহালছড়ি থলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এ যেন বর্ষাকালে কোমর পুকুর

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মহালছড়ি উপজেলায় থলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেন বর্ষাকালে কোমর পুকুর ভরে গেছে। জেলার মহালছড়ি উপজেলার সদর আন্ত: প্রধান সড়কে প্রাণকেন্দ্র থলি পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

আঙ্গিনায় নয় যেন বড় কোন জলাশয় চিত্র। এটি যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানির নিচে ডুবে যায় এই স্কুলের সব শ্রেণীকক্ষ ও খেলার মাঠটি। এ কারণে বিদ্যালয় চলাকালে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

গত কয়েক দিন টানা ভারি বর্ষণের ফলে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এতে করে বিঘিœত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় ৪৪শতাংশ জমির উপরে বিদ্যালয়টি ১৯৫৭সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন এই বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২শ’ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। আর এই সকল শিক্ষার্থীরা স্কুলের সীমিত সংখ্যক শ্রেনী কক্ষে পাঠদান এবং মাঠেই খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করে থাকে।

এছাড়া জাতীয় সব অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
প্রত্যক্ষ সরেজমিনে দেখা যায়, কিন্তু বিদ্যালয়টির জায়গায় নিচু হওয়ায় হালকা বৃষ্টিতেই শ্রেণীকক্ষসহ মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানি নিষ্কাশনে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তাই শুধু বার্ষকালই না বছরের যেকোনো সময় বৃষ্টি হলেই এই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

আর দ্রুত পানি নিষ্কাসন না হওয়ার পানি থেকে তৈরি হয় দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রব। এছাড়া জন্ম নেয় বিভিন্ন প্রজাতির মরন মশা। ক্লাস শেষে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে পানিতে নেমে খেলাধুলা করছে।

থলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অংশুমান দেবনাথ বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ও মাঠ পানিতে তলিয়ে যায়। তখন আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে অনেক সমস্যা হয়। অতিদ্রæত বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় মাটি ভরাট ও বহুতল ভবন করা নিতান্ত জরুরী দরকার।

মহালছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, গত তিন দিনের বর্ষায় বিদ্যালয়টি আঙ্গিনায় বৃষ্টির পানি জমেছে, তাই বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা ইতি মধ্যেই বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বরাদ্দ পেলে মাঠের সংস্কার করতে পারব। নতুন ভবন বরাদ্ধ পেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী উচু করে অবকাঠামো নির্মান করার প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।