খাগড়াছড়ির লক্ষ্যাছড়িতে আওয়ামীলীগ সভাপতিকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীদের গুলি, গুরুতর আহত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা লক্ষ্যাছড়ি উপজেলাতে আওয়ামীলীগ সভাপতিকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। জেলার লক্ষ্যাছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্মাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নিলবর্ণ চাকমাকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার (১৫ই মে) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তার নিজ বাসায়। গুলিবিদ্ধ নিলবর্ণ চাকমাকে আহত অবস্থায় লক্ষাছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিলবর্ণ চাকমার বাম পায়ে ২টি গুলি লেগে, গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিলবর্ণ চাকমা রাত ৮টার দিকে বানরকাটা হাসপাতাল এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসায় রাতের খাবার খেয়ে হুক্কা(ডাবা) টান ছিলেন। একপর্যায়ে বসা থেকে ওঠে দাঁড়ানোর সাথে সাথে গুলির আওয়াজ হয়। আওয়াজ শুনতে পেলেও নিলবর্ণ তখনো বুঝতে পারেনি যে নিজের পায়েই গুলিটি লেগেছে। কয়েক সেকেন্ড পর দেখেন তার পা থেকে মাটিতে রক্ত ঝরছে। এরপরই পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাকে।

নিলবর্ণ চাকমার ছেলে তুহিন চাকমা বলেন, আমি ঘরে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে আছি, হাঠাৎ করেই বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে উঠে পড়ি। বাবার চিৎকার শুনে বাবার কাছে ছুটে যাই। কোনো লোকজনকে আমি দেখতে পাইনি।

নিলবর্ণ চাকমাকে যখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তখন মারাত্মক আহত অবস্থায় তিনি বলেন, দরজার বাহির থেকে গুলিটি এসেছে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি যে আমার পায়ে গুলি লেগেছে। বাহির থেকে গুলি করেই পালিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা, আমি কোনো ব্যক্তিকে দেখতে পাইনি। কেন, কি কারণে, কারা আপনাকে গুলি করবে এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেন নি তিনি।

লক্ষ্যাছড়ি উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো: হাসান মাহমুদ জানান, ধারনা করা হচ্ছে নিলবর্ণ চাকমার বাম পায়ে ২টি গুলি লেগেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছি। তবে তিনি শংকামুক্ত বলে জানান কর্তব্যরত ডাক্তার।

লক্ষ্যাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিনহাজ মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই হাসপাতালে ছুটে গেছি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ বিষয়ে যদি কোনো অভিযোগ পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৯২সাল থেকে ১৯৯৬সাল পর্যন্ত নিলবর্ণ চাকমা বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বর্তমানে নিলবর্ণ চাকমা বর্মাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পর পর গত ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন তিনি।