খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের সংগঠক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারায় সেনা মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফ সংগঠক অংথোই মারমা ওরফে আগুন-কে হত্যার প্রতিবাদে রামগড়, মানিকছড়ি, সাজেকের বাঘাইহাট ও মাচলঙে এবং বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলী এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার সময় সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইংগেছ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি কালো বরণ চাকমা। এ বিক্ষোভটি আয়োজন করে ইউপিডিএফ’র গঙ্গারাম ইউনিট।
আর একই ইউনিয়নের মাচলঙে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ইউপিডিএফ’র সাজেক ইউনিটের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে কিরণ চাকমার সঞ্চালনায় বক্ত্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমা ও যুব নেতা সুমন চাকমা প্রমুখ।
অপরদিকে উক্ত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ইউপিডিএফের বাঘাইছড়িতে স্থানীয় ইউনিটের উদ্যোগে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিমল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ’র বাঘাইছড়ি ইউনিটের সংগঠক রিয়েল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরারেমর বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি রতনজ্যোতি চাকমা ও সুজন চাকমা প্রমুখ।
এসব বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গতকাল খাগড়াছড়ির গুইমারায় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফ সংগঠক অংথোই মারমা আগুনকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তারা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শুধু গুইমারায় নয়, সেনাবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে একের পর এক খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম সংঘটিত করছে। ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমাসহ এ যাবত তারা ইউপিডিএফের বহু নেতা-কর্মী সমর্থককে হত্যা করলেও সন্ত্রাসীদের কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। কাজেই এসব খুন-খারাবিসহ অপকর্মের দায়ভার সেনাবাহিনী ও সরকারকে নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ সংঘাত বন্ধের আহবান জানাচ্ছে, নানা কর্মসূচি পালন করছে। আর এতেই শঙ্কিত হয়ে শাসকগোষ্ঠি তথা সেনাবাহিনী সংঘাত উস্কে দিতে খুন-খারাবি শুরু করেছে। কিন্তু সরকার ও সেনাবাহিনীকে মনে রাখতে হবে, খুন, গুম, দমন-পীড়ন চালিয়ে ইউপিডিএফ’র ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করে ইউপিডিএফ তার আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে অংথোই মারমার চিহ্নিত হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে যথাযথ বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সন্ত্রাসীদের সেনা মদদদান বন্ধ করার দাবি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন