খাগড়াছড়ির পানছড়ি ছনখোলায় সেতু ও কালভার্টের রড চুরি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলা ছনখোলা রাস্তার মাঝখানে বাবুইন্যার জমির ছড়ায় সরকারি দু’টি আরসিসি পরিত্যক্ত সেতু ও একটি কালভার্টের রড খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। যার মাঝে ২’টি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের এবং অপরটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের। এমন ঘটনায় এলাকা জুড়ে চলছে তোলপাড়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনাধীন সেতু নির্মান প্রকল্পের আওতায় জেলার পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ছনখোলা রাস্তার মাঝখানে বাবুইন্যার জমির ছড়াতে ৪০ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মান করা হয়। একই অর্থ বছরে অমরেন্দ্র পাড়া হতে দূর্গামনিপাড়া যাওয়ার রাস্তায় শ্রীকুন্তিমা ছড়ার উপর একই দৈর্ঘ্যে’র আরেকটি ব্রিজ নির্মান করে পিআইও কার্যালয়। দুটি ব্রিজ নির্মানে ব্যয় হয়েছিল ৬১লাখ ৭৯হাজার ৮০৮টাকা। সম্প্রতি সীমান্ত সড়ক নির্মান কাজ চলায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার ব্রিজ দুটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজ দুটি ভেঙ্গে কে বা কাহারা রড খুলে নিয়ে গেছে। টানা ৪/৫দিন ধরে সরকারি ব্রিজগুলো ভেঙ্গে রড তুলে নিলেও কারো নজরে পড়ে নাই। চুরি হয়ে যাওয়ার পর টনক নড়ে প্রশাসনের।
সীমান্ত সড়কে কর্মরত শ্রমিক আনোয়ার ফয়সাল জানান, বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে পরিত্যক্ত ব্রিজের রডগুলো খুলে নেয়া হয়েছে একটুকুই জানি। রডের দাম কতো হতে পারে সে সম্পর্কে কেউ ধারনা দিতে পারেননি।
এদিকে হারুবিল-কচুছড়ি এলাকায় যাওয়ার রাস্তায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত একটি কালভার্টের রডগুলোও একই কায়দায় চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় থানায় সাধারণ জিডি করেছেন অতি: দায়িত্বে থাকা পানছড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) আবদুস সালাম। তিনিও বর্তমানে কর্মস্থল ত্যাগ করে অন্যত্র যোগদান করেছেন।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: হারুনুর রশিদ জানান, সেতু ও কালভার্টের ক্ষতি সাধন করেছে মর্মে উল্লেখ করে পিআইও একখানা সাধারণ ডায়েরি করেছে। ডায়েরিখানা কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমতি পেলেই পুলিশ আন্তরিকতার সহিত তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন