খালেদা জিয়ার কোলে বাবা হারানো রোহিঙ্গা শিশু মোবারক

সকাল থেকেই ছয় মাসের শিশু মোবারককে নিয়ে ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছি‌লেন তার মা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর তিনিও ছেলেকে নিয়ে হাজির হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সামনে। ত্রাণ নিলেন তাঁর হাত থেকে। এ সময় খালেদা জিয়া তার সঙ্গে কুশলবিনিময় করলেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নিলেন। একপর্যায়ে শিশু মোবারককে কোলে নিয়ে আদর করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

সোমবার দুপু‌রে রো‌হিঙ্গা‌দের মা‌ঝে ত্রাণ বিতরণকা‌লে এ রো‌হিঙ্গা শিশু‌কে আদর ক‌রেন বিএন‌পি চেয়ারপারসন।

বালুখালী-২ ক্যাম্পে খালেদা জিয়াকে কাছে পেয়ে মোবারকের মা বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী মোবারকের বাবাকে হত্যা করেছে। ছেলেকে নিয়ে কোনোমতে জীবন নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি।’

এ সময় খালেদা জিয়া মোবারকের মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘একটু সময় লাগবে, অপেক্ষা করো। আরাকানে (রাখাইন) শান্তি আসবে। আমরা আরাকানে শান্তি আনব। তোমরা সেখানে ফিরে যাবে।’

খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ত্রাণভর্তি ৩৬টি ট্রাক সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর বাকি নয় ট্রাক ত্রাণের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারসেনা শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছু বিতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি হাকিমপাড়া ও বালুখালীতে গিয়ে বাকি ত্রাণ বিতরণ করবেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণসহায়তার উদ্দেশে ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন।

পথে ফেনী ও চট্টগ্রামে মিরসরাইয়ে তাঁর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যমকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে বিএনপি।

খালেদা জিয়া চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে রাতযাপন করে রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কক্সবাজার সার্কিট হাউসে পৌঁছান। সেখানেই খালেদা জিয়া রাতযাপন করেন।