খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের জড়িত থাকার অভিযোগ
ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলায় ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো এমনটি জানিয়েছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে কক্সবাজারের উদ্দেশে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ফেনী পৌঁছান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে পৌনে ৫টার দিকে ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং অতিক্রম করার পরপরই খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিনের মালিকানাধীন স্টার লাইন পেট্রল পাম্পের কাছ থেকেই গাড়িবহরে হামলা শুরু হয়।
এ হামলায় সফরের সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিককে বহনকারী একটি গাড়িসহ বেসরকারি বৈশাখী টেলিভিশন ও ডিবিসি টেলিভিশনের মোট তিনটি গাড়ি। একইসময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী কয়েকটি গাড়িতেও ভাংচুর করা হয় বলে জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার। শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি বলেন, ‘ফেনী পার হওয়ার পর চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ের বারাইয়া হাট এলাকায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
এসব হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ জড়িত বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় একাধিক সূত্রও এমনটি দাবি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পেট্রল পাম্পের কাছে হামলায় ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞার অনুসারী এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জের অনুসারীরা অংশ নেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানে আলম ভূঞা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আমরা কোনও শত্রুপক্ষ এ অপপ্রচার করছে।’ আর জাবেদ হায়দার জর্জ বলেন, ‘এ হামলার কথা আমি শুনেছি। এর সঙ্গে আমি কিংবা আমার কোনও অনুসারী যুক্ত ছিল না। এটা বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে বলে আমি শুনেছি।’
এ হামলার পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ফেনীর লালপুলে জাফর আহমদ পাটোয়ারীর মালিকানাধীন সেভেন স্টার হোটেলের সামনে আক্রমণ করা হয় সাংবাদিকদের গাড়িতে। স্থানীয় সূত্রমতে, এ হামলায় সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রিন্টু ও জেলা যুবলীগের সদস্য ডালিমের অনুসারীরা জড়িত। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘জেলার লালপুলে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের জন্য আয়োজন করা খাবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে নষ্ট করেছে।’
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সদস্য ডালিম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। হামলার ঘটনা শুনে আমি এখানে দেখতে এসেছি।’ আর শাহাদাত হোসেন রিন্টু বলেন, ‘এ হামলার সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আপনি ভুল জানেন।’ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ছাত্রলীগের এক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খালেদা জিয়ার সফরে সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা লালপুল সেভেন স্টার হোটেলে খেতে আসলে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা করেন। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন