খালেদা জিয়ার রায় কার্যকর করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আর কী হবে, আইনমতো খালেদা জিয়ার বিচার হচ্ছে। বিচারের রায় যা হবে সেটা কার্যকর হবে। দেশের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আমাদের দেশের মানুষ ভাংচুর, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পছন্দ করে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা হেফাজত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণ ও দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সমীকরণ চলছে, এ সক্রান্ত কোনো রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- আল্লামা শাহ আহমদ শফী দেশের একজন শ্রদ্ধেয় ও সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। যেহেতু তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাকে আমার দেখার ইচ্ছে ছিল সেজন্য তাকে আমি দেখতে এসেছি। তবে কোনো রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দেন।

তিনি বলেন, আমি এ মাদ্রাসা পরিদর্শন এসে এত বড় মাদ্রাসা, এত বিশালসংখ্যক ছাত্র দেখে নিজে অবিভূত। না আসলে জানতে পারতাম না।

এর আগে তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুরে জামেয়া ইসলামিয়া ওবায়দিয়া মাদ্রাসার সফর শেষে সড়কযোগে বিকাল সাড়ে ৩টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন।

এ সময় হেফজত নেতা ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুফতি জসিম, মাওলানা ইয়াহিয়া ও হেফাজত আমিরের তনয় মাওলানা আনাস মাদানী মন্ত্রীকে মাদ্রাসায় অভ্যর্থনা জানান। এরপর মন্ত্রী মাদ্রাসা ঘুরে দেখেন এবং হেফাজত আমিরের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

মন্ত্রী হেফাজত আমিরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তার (আমির) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় মন্ত্রী দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে হেফাজত আমিরের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। মন্ত্রীর অনুরোধে হেফাজত আমির নিজেই মোনাজাত পরিচালনা করেন।

সাক্ষাৎকালে হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, এ মাদ্রাসায় কোনো জঙ্গি নেই এবং জঙ্গির সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের যারা এ কথা বলেন, তারাই আসল জঙ্গি। আহমদ শফী মন্ত্রীকে কওমি মাদ্রাসা স্বীকৃতি আইন সংসদে প্রস্তাব করার জন্য অনুরোধ করেন এবং মন্ত্রী হুজুরকে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়ার এমপি আবু রেজা চৌধুরী নদভী, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, ডিআইজি মনিউরজ্জামান মনি, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, হাটহাজারী মদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসীমুদ্দীন, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মাওলানা নূরুল ইসলাম জাদিদ, মাওলানা আহমাদ দীদার, মাওলানা ইয়াহয়া, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা শোয়াইব, মাওলনা হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী মোনাজাত শেষে আমিরের কার্যালয়ে আসরের নামাজ আদায় করে বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন।