‘খালেদা নির্বাচন করতে না পারলেও বিএনপি করবে’
আইনি জটিলতার কারণে কারান্তরীণ খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও বিএনপি তাতে ‘নিশ্চিত’ অংশ নেবে বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে এটা নিশ্চিত। খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না এটা আদালতের এখতিয়ার। আইনি জটিলতার কারণে খালেদা জিয়া অংশ নিতে না পারলেও বিএনপি মাঠে আছে, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে।’
‘বিএনপি দাবি করছে, কারারুদ্ধ খালেদা জিয়া অনেক শক্তিশালী, তাহলে বিএনপি কেন নির্বাচনে আসবে না? একজনের ওপর একটি দল নির্ভর করে না’, যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
আজ শনিবার দুপুরে নিজ জেলা ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরপর থেকেই রাজপথে ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলের অভিযোগ, খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতেই মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ভেবেছিল খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায় হওয়া এবং গ্রেপ্তারের পর রাজপথে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে, বঙ্গোপসাগরে ঢেউ নামবে। কিন্তু তা হয়নি। এ বিষয়ে মানুষের সাড়া মেলেনি। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ইতিহাস নেই।’
‘হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ কমসূচি পালনে বিএনপির সক্ষমতা নেই। খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেয়নি। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি কমসূচি দিয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে গৃহপরিচারিকাকে কারগারে থাকার অনুমতি দিয়েছেন আদালত; এটা নজিরবিহীন ঘটনা।’
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, রায়ের পর ১০ দিন হতে চললেও এখনো আদালত সত্যায়িত কপি আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করেনি। আপিল বিলম্ব করে খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ করার জন্যই তা করা হচ্ছে।
জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে। এ নিয়ে অহেতুক ধুম্রজাল সৃষ্টির প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত সময়ে তাঁরা তা পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস।’
সেতুমন্ত্রী এ সময় আরো জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণে প্রাক্কলনের চাইতে সাতশ কোটি টাকা কম খরচ হবে এবং নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন