খালেদার দণ্ড রাজনীতির ‘টার্নিং পয়েন্ট’ : মওদুদ
দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের আদেশ রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে মনে করেন মওদুদ আহমদ।
রায়ের দুই দিন পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারে আসার পর এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা অনাথদের জন্য না দিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দেয়ার অভিযোগে ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান এবং আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। যে ট্রাস্টে এই টাকা পাঠানো হয়, সেটি খোলা হয়েছিল সেনানিবাসের মইনুল রোডে খালেদা জিয়ার সে সময়ের বাসভবনের ঠিকানায়। ট্রাস্টের সেটেলার করা হয় তারেক রহমানকে। আর ট্রাস্টি ছিলেন আরাফাত রহমান এবং খালেদা জিয়ার ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
১৯৯৩ সালে বগুড়ার গাবতলীতে চার লাখ টাকায় জমি কেনা হলেও পরে সেখানে কোনো এতিমখানা করা হয়নি আর ট্রাস্টের টাকা এক পর্যায়ে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকে এফডিআর করা হয় বিএনপির সে সময়ের সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামালের নামে। পরে বিগত তত্ত্বাবধায় সরকারের আমলে মামলার প্রক্রিয়া শুরুর পর সে এফডিআর ভেঙে আবার ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল দাবি করেছেন, আসামিপক্ষের বিপক্ষে সব অভিযোগ তারা আদালতে প্রমাণ করেছেন।
তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদের দাবি, খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া সেটি অবৈধ এবং অন্যায় হয়েছে। আর এই ঘটনাটিই রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দীন খোকন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন