খুশকি সামলানোর ৬টি ঘরোয়া সমাধান
কম-বেশি খুশকির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কিন্তু যারা এই সমস্যায় ভোগেন, তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, এই সমস্যা সারা বছর এক রকম থাকে না। কখনও খুশকি বাড়ে, কখনও কমে। কিন্তু এটা ভেবে দেখেছেন কি, ঠিক কোন কোন কারণে এই খুশকির পরিমাণ বাড়ে-কমে? যদি সেটা বুঝতে পারেন, তাহলেই এই সমস্যা সামলানো তুলনায় অনেক সহজ হয়ে যাবে। এর বাইরে রইল খুশকি সামলানোর কয়েকটি ঘরোয়া সমাধানের সন্ধান।
গ্রিন টি
বাড়িতে গ্রিন টি যদি থাকে, তাহলে কিনে নিন পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল আর হোয়াইট ভিনিগার। গ্রিন টি একটি পাত্রে ফুটিয়ে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন দু-তিন ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল। এই মিশ্রনে এক চামচ হোয়াইট ভিনিগার মেশান। তারপর রেখে দিন ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত। যখন মাথা ধোবেন, তখন মাথা ধোওয়ার পরে এই মিশ্রন দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। মাথায় মাসাজ করুন এরপর। এরপর ভালো করে গোসল করে নিন। গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার খুশকি কমাতে সাহায্য করবে।
নিম পাতা
অন্য কোনও উপকরণ না পেলেও, শুধু নিম পাতা দিয়েই খুশকি আটকানো সম্ভব। কারণ নিমের মধ্যে থাকা উপাদান খুশকি তৈরি করা ব্যাকটেরিয়া মারতে পারে। ফলে খুশকির পরিমাণ কমে। নিম পাতা রাতে চার-পাঁচ কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলা সেখান থেকে তরলটি ছেঁকে বের করে নিন। তারপর মাথার তালুতে তরলটি মাখিয়ে রাখুন। একঘণ্টা এইভাবে মাখিয়ে রাখার পর মাথা ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি কমে যাবে।
অ্যাসপিরিন
দুটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুড়া করে প্রতিদিনের ব্যবহার করা শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর প্রতিদিন যেভাবে শ্যাম্পু করেন, সেভাবেই এই মিশ্রন দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। শুধু শ্যাম্পুটা মাখানো অবস্থায় মিনিট দুয়েক রেখে দিলে ভালো হয়। অ্যাসপিরিনের মধ্যে থাকা সালিসাইলেট মাথার ত্বকের উপকার করে এবং খুশকি আটকাতে সাহায্য করে।
নারেকল তেল
নারকেল তেলের মধ্যে থাকা ফাংগাস বিরোধী উপাদান খুশকি আটকায়। তাই এই তেলের ব্যবহার করলে খুসির পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। পাঁচ ফোঁটা নারকেল তেলের সঙ্গে পাঁচ থেকে দশ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রন দিয়ে মাথার তালপ ভালো করে মাসাজ করুন। এই মাসাজ রাতে করাই ভালো। তারপর সারা রাত মাথা ধোবেন না। একেবারে সকালে শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে নিন। মনে রাখবেন, সারা রাত মাথা এই তেলের মিশ্রনে মাখানো থাকলে খুশকি সারবে সহজে। কিন্তু হাতে সময় কম থাকলে, সেই সুযোগ কম। সে ক্ষেত্রে অন্তত ৩০ মিনিট মাথা মাখিয়ে রাখুন তেলের মিশ্রনে। তাতেও কাজ হবে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডাও খুব ভালো মানের অ্যান্টিফাংগাল। তাই এর ব্যবহারেও খুশকির পরিমাণ কমে। স্বাভাবিকভাবে মাথা ধুয়ে নিন। তারপর মাথায় বেকিং সোডা লাগিয়ে নিন। মাথার তালুতেই প্রধানত লাগাবেন এই সোডা। সোডা দিয়ে তালু মাসাজ করলে খুব ভালো হয়। এক-দু’মিনিট এই অবস্থায় রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। খুশকির পরিমাণ কমবে।
টক দই
টক দই খুশকির থামানোর অব্যর্থ দাওয়াই। অল্প পরিমাণে টক দই (আপনার মাথার তালুর পুরোটা ঢাকতে যতটা লাগতে পারে) খোলা অবস্থায় রেখে দিন এক-দু’দিন। এর মধ্যে ফারমেনটেশন হওয়ার সময় দিন। তারপর মুখে যেভাবে মাস্ক লাগান, সেভাবেই মাথার তালুতে মাস্কের মতো করে এই ফারমেনটেড টক দই লাগিয়ে নিন। এই অবস্থায় এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর খুব হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। মনে রাখবেন, এই হালকা শ্যাম্পুর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। খুশকি খুব বিরক্তিকর বটেই। কিন্তু মনে রাখবেন, একে সামলানো কঠিন নয়। ওপরে লেখা যে কোনও পদ্ধতি বা একাধিক পদ্ধতির ব্যবহার করে খুশকি থেকে সহজেই নিরাময় পাওয়া যায়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই ডটকম
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন