খোমেনীর মাজার থেকে এক নারী ‘হামলাকারী’ আটক
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/06/iran-woman.pori_.home_.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
ইরানের রাজধানী তেহরানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পর আয়াতুল্লাহ খোমেনীর সমাধিসৌধ থেকে এক নারী হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার ইরানের পার্লামেন্ট ভবন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ইরানী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনীর মাজারে সন্ত্রাসী হামলা হয়।
ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি’র (এফএনএ) খবরে বলা হয়, চারজন সশস্ত্র হামলাকারী এই গোলাগুলির সূচনা করে। মাজারে আগমনকারী পূণ্যার্থীদের উপর দেদারছে গুলি চালায় তারা। তাদের মধ্যে একজন মাজারের সামনের পুলিশ স্টেশনে আত্মঘাতী হামলা চালায়। সেই আত্মঘাতী নারী বলে জানা যায়।
ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাজার ঘীরে ফেলে এবং অপর একটি সুইসাইড ভেস্ট নিষ্ক্রিয় করে। একই সময়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক হামলাকারী নিহত হয়। অপর একজন হামলাকারী সায়ানাইড ক্যাপসুল খেয়ে আত্মহত্যা করে। আর তৃতীয় নারী হামলাকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়।
বেশ কয়েকটি আরব মিডিয়াতে প্রথম দিকে খবর প্রকাশ করা হয় আইএস এ হামলাগুলো চালিয়েছে। কিন্তু আধাঘণ্টা পর সেসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলা হয়।
তেহরান হামলাটি খুবই প্রতীকি তাৎপর্য বহন করে।
২৯০ সদস্যের পার্লামেন্ট ভবন মজলিসে হামলা এবং ইরানের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি আয়াতুল্লাহ খোমেনীর মাজারে হামলা খুবই অর্থবহ বলে উঠে এসেছে সিএনএন এর প্রতিবেদনে।
কিভাবে এরকম সুরক্ষিত পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালানো যায় সেটা খুবই ভাবনার বিষয়। সুরক্ষিত এই ভবনটির রয়েছে অনেকগুলো চেকপয়েন্ট। সেগুলো বেয়ে সন্ত্রাসীরা কিভাবে ভেতরে চলে আসলো সেটা অবাক করার মতোই ব্যাপার।
তাছাড়া অস্ত্র বহন ও কেনা ইরানে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। তাই সেটা স্পষ্ট হামলাকারীরা দেশের বাইরে থেকে পাচার করে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন