গত ১৮ বছরে উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার কেমন ছিল?
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের খবর সবাই পেয়েছেন। এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে সারাদেশে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
খুব দ্রুত এই ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হবে। কোথায় তুলনামূলক পাসের হার কম, কোথায় বেড়েছে, কেন-ই বা এমন হচ্ছে ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা চলবে। এমনিতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা জটিলতায় সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, পেশার প্রতি শিক্ষকদের শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনাও কম নয়। এখানে কেবল পাসের হার দেখে নেয়া যাক। ২০০০ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ গত ১৮ বছরে দেশের গড় পাসের হার এখানে তুলে ধরা হলো।
নিচে তালিকা আকারে একের পর এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সাল ও পাসের হার দেখে নিন। এতে পার্থক্যটা বুঝে নিতে সুবিধা হবে-
২০১৮ সাল- পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ
২০১৭ সাল- পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ; অর্থাৎ এবার কমেছে ২.২৭ শতাংশ,
২০১৬ সাল- পাসের হার ৭৪.৭০ শতাংশ,
২০১৫ সাল- পাসের হার ৬৯.৬০ শতাংশ,
২০১৪ সাল- পাসের হার ৭৮.৩৩ শতাংশ; এই পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ পাসের হার,
২০১৩ সাল- পাসের হার ৭৪.৩০ শতাংশ,
২০১২ সাল- পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ,
২০১১ সাল- পাসের হার ৭৫.০৮ শতাংশ,
২০১০ সাল- পাসের হার ৭৪.২৮ শতাংশ,
২০০৯ সাল- পাসের হার ৭২.৭৮ শতাংশ,
২০০৮ সাল- পাসের হার ৭৬.১৯ শতাংশ,
২০০৭ সাল- পাসের হার ৬৫.৬০ শতাংশ,
২০০৬ সাল- পাসের হার ৬৫.৬৫ শতাংশ,
২০০৫ সাল- পাসের হার ৫৯.১৬ শতাংশ,
২০০৪ সাল- পাসের হার ৪৭.৭৪ শতাংশ,
২০০৩ সাল- পাসের হার ৩৮.৪৩ শতাংশ,
২০০২ সাল- পাসের হার ২৭.০৯ শতাংশ; ১৮ বছরে এটাই ছিল সর্বনিম্ন,
২০০১ সাল- পাসের হার ২৮.৪১ শতাংশ এবং
২০০০ সাল- পাসের হার ৩৭.০৫ শতাংশ।
মোট ১৮ বছরের হিসাব। ২০০০ সালের পাসের হার ১৮ বছরে প্রায় দ্বিগুনে পৌঁছেছে। ২০০০ সালের পরের দু’বছর পাসের হার কমেছে। কিন্তু ২০০৩ সালে বেশ বেড়ে যায়। এরপর আর কমতির দিকে ছিল না। বরং ব্যাপক হারে বেড়েছে। এই ১৮ বছরের মধ্যে ২০১২ সালে পাসের হার সর্বোচ্চ ছিল, ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন