গবেষণায় অবদানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারে ভূষিত হলেন বাকৃবির অধ্যাপক এম এ সালাম
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/07/443-900x450.png)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
নুরজাহান স্মৃতি, বাকৃবি থেকে : কৃষি গবেষণায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২২” তে রৌপ্য পদক অর্জন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম। ১৬ জুলাই রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রৌপ্য পদক গ্রহণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মইনুদ্দিন আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং পুরস্কার বিতরণী পর্বটি সঞ্চালনা করেন।
এসময় পুরস্কার হিসেবে তিনি নগদ ৫০ হাজার টাকা, ২৫ গ্রাম ওজনের রৌপ্য মেডেল, ও সনদ গ্রহণ করেন। দেশের কৃষি খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার প্রতিবছর এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। দশটি শ্রেণীতে পাঁচটি সোনা, নয়টি রৌপ্য এবং ১৮টি ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়।
অনুভূতি জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম বলেন, যেকোন স্বীকৃতিই ভালো লাগে সবার। এই স্বীকৃতির জন্য আজ আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। সঠিক মান বজায় রেখে এখন আরো ভালো কাজ করতে হবে আমাকে। আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন করে অনুপ্রেরণা পেলাম।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাকোয়াপনিক্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রদর্শণীর ব্যবস্থা থাকবে। ফলে সারাদেশসহ বিদেশ থেকে লোক এসে এ পদ্ধতি সর্ম্পকে জানতে পারবে এবং পদ্ধতির বিস্তৃতি ঘটাবে। এ্যাকোয়াপনিক্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের একোয়াকালচার বিভাগের এ্যাকোয়াপনিক্সের (মাছের পানি ব্যবহার করে মাটিবিহীন সবজি উৎপাদন) একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. এম. এ.সালাম।। নিজ বাসার পুরোটো ছাদ জুড়েই গড়ে তুলেছেন এ্যাকুয়াপনিক্সের চাষ। তিনি পুষ্টি প্রবাহ পদ্ধতি, মিডিয়া বেস পদ্ধতি, উলম্ব পদ্ধতি, এরোপনিক্স বা ঝর্ণার মাধ্যমে পদ্ধতি ব্যবহার করে তেলাপিয়া, কমন কার্প, মাগুর, শিং ও পাঙ্গাস মাছ চাষের সাথে একই পানি ব্যবহার করে কোন ধরণের রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই টমেটো, কলমি, কচু, ঢেঁড়স, পুদিনা, লালশাক, পুইশাক, বরবটি, ধুন্দল, স্ট্রবেরী, পেপে, করলা, ভুট্টা, চালকুমড়া, লেটুস, কাকড়োল ও বেগুন উৎপাদন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২২” অর্জন করেন তিনি।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন