গভীর রাতে মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা ডাক্তার
গভীর রাতে এক মাদরাসাছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার রুবেল আহমেদ (২৭)।
ধরা পড়া রুবেল আহমেদ এক সন্তানের জনক। ঘটনার পর ছাত্রীর সঙ্গে তার বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংসা হওয়ায় বিয়ে না পড়িয়ে ওই বাড়ি থেকে ফিরে আসেন কাজি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা মাদরাসার ওই ছাত্রীর (১৮) সঙ্গে রুবেল আহমেদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীর সঙ্গে রুবেলকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে এলাকাবাসী।
পরে এ ঘটনায় গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে রুবেলের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার জানায়, রুবেল আহমেদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার দিন রাতে মেয়ের ঘরে রুবেল আহমেদের অবস্থান টের পেয়ে বাড়ির লোকজনসহ গ্রামবাসী আপত্তিকর অবস্থায় তাকে আটক করে। পরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন ও বর্তমান ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদকে ডেকে এনে রুবেলকে গণধোলাই দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এরপর রুবেলকে ওই বাড়ির বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে দেনদরবার। অবশেষে তার কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ হক বলেন, বিষয়টি মীমাংসার অযোগ্য হওয়ায় আমি ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। এরপর বিষয়টি কীভাবে মীমাংসা করা হয়েছে আমি জানি না।
টাকার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে জানিয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগী মেয়ের চাচা রমজান আলী টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, এছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না। বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমি কোনো টাকা পাইনি। আমি মীমাংসা চাই না। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে ওই ডাক্তার। তাই রুবেলকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। না হয় আমি আত্মহত্যা করবো।
ওই এলাকার কাজি ফারুক বলেন, ওই পরিবারের লোকজন ঘটনার দিন নিকাহ নিবন্ধনের জন্য আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়েছিল। আমি গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা হওয়ায় ভোরে রাগ করে আমি বাসায় ফিরে আসি।
ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনাটি মীমাংসার অযোগ্য। তবে এ নিয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন