গরু কেনার টাকা নেই তাই দুই মেয়ে দিয়ে হাল চাষ
জমি চাষের জন্য প্রয়োজন গরু। কিন্তু বাবার সামর্থ্য নেই গরু কেনার। তাই বাধ্য হয়ে কাঁধে জোয়াল তুলে নিতে হয়েছে দুই বোন রাধা ও কুন্তিকে। গত তিন বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন তারা। এমনকি বাবার ছোট চাষের জমিটিতে লাঙল টানতে স্কুলও ছাড়তে হয়েছে তাদের।
ঘটনাটি ভারতের মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নিজ জেলা সেহোরের। ঋণ থেকে মুক্তি ও কৃষি পণ্যের ভালো দামের জন্য কৃষকদের আন্দোলনের মুখে পড়তে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
ভুপাল থেকে ৬৩ কি. মি. দূরে বসন্তপুর পাঙরি গ্রামের সরদার বারেলা নামের সেই কৃষক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দারিদ্র্যের কারণে আমি ষাঁড় কিনতে পারি না, তাই আমার মেয়েদেরকেই সেই জায়গায় ব্যবহার করি। তারা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থার কারণে স্কুল বাদ দিতে হয়েছে।’
১৪ বছর বয়সি রাধা আবার স্কুলে পড়তে চায় কিন্তু তাকে ভর্তি করানোর মতো যথেষ্ট অর্থ তার পরিবারের নেই। লাঙল টানার কারণে হাতে ফোসকা পড়েছে ১১ বছর বয়সি কুন্তির। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা তাদের এ কাজ করতে বাধ্য করছে।
বারেলার ভাই দয়া রাম জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কৃষকরা সাহায্যের জন্য গিয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের কথা শোনে না। আমরা গরিব, কী করতে পারি? তাই আমার ভাতিজিদের স্কুল ছাড়তে হয়েছে এবং কৃষি জমিতে সাহায্য করতে হচ্ছে।’
দুই বোনের এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় গ্রামীণ কর্মকর্তা রামদেওয়ার কের কৃষকের পরিবারকে সাহায্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা কালেক্টর তরুণ কুমার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গ্রামে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রাধা ও কুন্তিকে দিয়ে হাল-চাষ না করাতে ওই কৃষককে অনুরোধ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন