গাইবান্ধার খাজা টাওয়ারে নিহত গোবিন্দগঞ্জের হাসনা হেনার দাফন সম্পন্ন
প্রথম অনাগত সন্তানের জন্ম কোথায় হবে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাবার বাড়িতে, নাকি কর্মস্থল রাজধানীর বাসায়? পরিবারের সাথে বেশ কিছু দিন থেকেই পরিকল্পনা চলছিলো এ নিয়ে। নানা স্বপ্ন বুনছিল তার অনাগত শিশুটির জন্ম নিয়ে। কিন্তু পরিবারের সবার স্বপ্নকে মিথ্যে করে দিয়ে সে গোবিন্দগঞ্জের বাবার বাড়িতেই ফিরলো তবে নিষ্প্রাণ দেহে। অনাগত সন্তানকে উদরে ধারণ করেই।
হতভাগ্য এই নারীর নাম রানু ফারাবী ওরফে হাসনা হেনা (২৭)। গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর খাজা টাওয়ারে লাগা আগুন থেকে নিজের এবং গর্ভে ধারণ করা অনাগত সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে তারে ঝুলে নামতে গিয়ে নিহত হন তিনি। রানু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের সতিতলা গ্রামের হারুন মিয়ার কন্যা।
স্বজনরা জানিয়েছেন, রানু ফারাবী ওরফে হাসনা হেনা রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ৯ম তলায় ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানি অরবিট-এর সেলস্ বিভাগে চাকুরী করতেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ভবনের ১৩তলায় আগুন লাগলে অন্য সবার মতো তিনিও প্রাণ ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে ইন্টারনেট সরবরাহের তারে ঝুলে নামতে গিয়ে তার ছিঁড়ে নিচে পড়ে যান তিনি।
এসময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। তিনি সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিলেন। ঘটনার পরপরই পরিবারের লোকজনের কাছে খবরটি নিশ্চিত করেন কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার নাজমুল হুদা। রাজশাহীর বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম সানি নামে এক যুবকের সাথে তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়।
ঢাকা থেকে মরদেহ আসার পর শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১২টায় কামারদহ ইউনিয়নের সতিতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন