গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২১৬ ধরনের ভোগ্য পণ্যের নকল মোড়ক ও মালামাল সহ আটক এক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কুঠিবাড়ী উপজেলা চত্বর এলাকা থেকে প্রাণ,তীর, মদিনা, বসুন্ধরা, এসিআই, আকবরিয়া, শ্যামলী, এশিয়া ও ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ২১৬ ধরনের ভোগ্য পণ্যের নকল মোড়ক ও মালামাল সহ জয়নাল আবেদীন নামক একজনকে আটক করে কারা ও অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে গুমানীগঞ্জ ইউপির বালুপাড়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে এবং উপজেলা বিআরডিবি কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।

রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে আকবরিয়ার হেড অব সেলস এর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ বিন শফিক আটক জয়নাল আবেদীনকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ২১৬ ধরনের নকল মালামাল ও মোড়ক উদ্ধার করে। পরে তাকে ২ মাসের বিনাশ্রম জেল ও ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১৫দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। উদ্ধারকৃত ২১৬ ধরনের বিপুল পরিমাণ খালি মোড়ক ও লাচ্চা সেমাই, মুড়ি, বিস্কিট, টোস্ট, খেজুর, লবণ জাতীয় পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়।

আকবরিয়ার হেড অব সেলস জানান, আমাদের সেলসম্যানরা গোবিন্দগঞ্জ বাজার এলাকায় আকবরিয়া ব্র্যান্ডের এলিট পণ্য হিসেবে খ্যাত সিক্স সিস্টার ঘিয়ে ভাজা লাচ্চার মূল্যে সন্দেহ প্রকাশ করে (৭০০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকা)। পরে আমাদের একটি টিম কৌশলে কম মূল্যের ওই পণ্যর অর্ডার করলে জয়নাল আবেদীন তা দ্রুত এনে দিলে তাকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লা বিন শফিক আটক জয়নাল আবেদীনকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালায়। কুঠিবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিআরডিবি কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় তার বাসা থেকে প্রাণ, তীর, মদিনা, বসুন্ধরা, এসিআই, আকবরিয়া, শ্যামলী, এশিয়া ও ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ২১৬ ধরনের ভোগ্য পণ্যের নকল মোড়ক-মালামাল উদ্ধার ও তা ধ্বংস করে।

তিনি আরও জানান, কোম্পানীর নিয়োগকৃত আইনজীবীদের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য ও উপাদানের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, বাজারে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যগুলো জয়নাল আবেদীন স্থানীয় বেকারী ও উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে কিনে তীর, প্রাণ, এসিআই, আকবরিয়া, শ্যামলী, এশিয়ান ও ইত্যাদি ব্র্যান্ডের নকল মোড়কে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করতেন। ঈদকে সামনে রেখে তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল কিনে প্রায় ১০ লাখ টাকায় তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ বিন শফিক জানান, আমরা আকবরিয়া কোম্পানির কর্মকর্তাদের আটক ব্যক্তিকে নিয়ে তার বাসায় অভিযানে যাই। সেখানে শুধু একটি কোম্পানি বা একটি পণ্য নয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১৬ ধরনের ভোগ্যপণ্য নকল মোড়ক ও মালামাল উদ্ধার করি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সালের ৫০ ধারায় জয়নাল আবেদীনকে দণ্ড ও জরিমানা করে জব্দ মালামাল ধ্বংস করা হয়।