গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের টিসিবি’র পণ্য বিতরণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম রেজওয়ানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ীর কার্যালয়ে সুবিধাভোগী কার্ডধারী ১৩৭৯ জনের মাঝে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ শুরু করেন ডিলার মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্স।

সরেজমিন ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, টিসিবি’র কার্ডধারীদের কাছ থেকে প্রায় ১ মাস পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক কার্ডগুলো জমা নেয়। সেই মোতাবেক রোববার টিসিবি’র পণ্য বিতরণের তারখ নির্ধারণ ছিল। টিসিবি’র পণ্য বিতরণের আগ মুহুর্তে চেয়ারম্যান নিজস্ব লোক দ্বারা জমাকৃত কার্ডগুলো কার্ডধারীসহ অন্যান্যদের মাঝে ফেরৎ পূর্বক পণ্য বিতরণ করা হয়।

বিতরণ কালে দেখা যায়, পূর্বের অনেক সুবিধাভোগী কার্ডধারী কার্ড জমা দিয়েছেন। কিন্তু পণ্য নেয়ার সময় কার্ড পায়নি বলে অভিযোগ করেন এবং তাদের বলা হচ্ছে কার্ডগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। আবার যাদের পণ্য দেয়া হচ্ছে তাদের কার্ডগুলো ডিলার কর্তৃক জমা নেয়া হচ্ছে। এতে করে ভুক্তভোগী কার্ডধারী পরিবারগুলোর মধ্যে হয়রানি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, বড়গোপালপুর গ্রামের আঞ্জুয়ারা বেগম, কল্পনা বেগম, আফরোজা বেগম, আরজিনা বেগম, জানিপুর গ্রামের জিয়ারুল হক, শফিকুল ইসলাম ও ফরিফা বেগমসহ আরো অনেকেই।

সুবিধাভোগীর কার্ডগুলো জমা রাখার বিষয়ে ডিলারের প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন জানান, কার্ডগুলো চেয়ারম্যানের পরামর্শে জমা দেয়া হচ্ছে।

এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম রেজওয়ানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এসব সুবিধাভোগীদের কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই পরবর্তীতে আবার অনলাইন করে নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হবে বলে কার্ডগুলো জমা নেয়া হচ্ছে। আর যারা পণ্য পায়নি তাদের কিছু লোকের আইডি কার্ডসহ মোবাইল নম্বর নিচ্ছি বৃহস্পতিবার তাদের আমি নিজে পণ্য কিনে বিতরণ কবরো ইউপি চেয়ারম্যান জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলামের সাথে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে অনিয়ম বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমাকে কেউই অবগত করেনি। তবে পরবর্তী খতিয়ে দেখা হবে।