গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা ৯০ বছরের বৃদ্ধা, অভিযুক্ত ছেলে-বৌমা
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোনারপুরের কোদালিয়ার চলপাড়ার বাসিন্দা বছর নব্বইয়ের মীনা দাস দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
অমানবিক। গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ঘরের বাইরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছিল এক বৃদ্ধাকে। একে ঠান্ডা। তার উপর মশার কামড়। চলার ক্ষমতা প্রায় নেই। চিৎকার করে সাহায্য চাওয়ার ক্ষমতাও হারিয়েছেন বছর নব্বইয়ের ওই বৃদ্ধা। সোমবার বিকেলে খবর পেয়ে তৎপর হলেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান পল্লবকান্তি দাস। বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ঘরে পাঠালেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোনারপুরের কোদালিয়ার চলপাড়ার বাসিন্দা বছর নব্বইয়ের মীনা দাস দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে মীনার ছেলে খোকন এবং বৌমা রীতা তাঁকে ঘর থেকে বার করে দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন। যদিও প্রতিবেশীদের একাংশ এ-ও জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে মীনাকে ঘর থেকে বার করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হতো। পরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকিয়ে নেওয়া হতো ওই বৃদ্ধাকে। খোকন সোনারপুরের বিএলআরও অফিসে মুহুরির কাজ করেন।
শীতকালে এই ঠান্ডার মধ্যে কেন বৃদ্ধাকে বার করে দেওয়া হতো? রীতা জানিয়েছেন, হাত-পা না বেঁধে রাখলে শাশুড়ি প্রায়ই অন্য কোথাও চলে যেতেন। সেই বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতেই নাকি শাশুড়িকে বেঁধে রাখা হয়েছিল!
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন