গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে : কাতার

কাতারের প্রধানমন্ত্রী রবিবার বলেছেন, ইসরায়েলের চলমান বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও গাজায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এবং হামাসের হাতে আটক আরো জিম্মিদের মুক্ত করতে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, দোহা ফোরামকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, ‘দেশ হিসেবে কাতারের অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা হাল ছাড়ছি না।

বোমাবর্ষণের ধারাবাহিকতা আমাদের জন্য এই সুযোগকে সংকুচিত করছে।’৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুসারে, সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হয়।

অন্যদিকে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ১৭ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। আলোচনার ফলস্বরূপ সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এ মাসের শুরুতে বিরতিটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দি এবং মানবিক সহায়তার বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘আমরা (প্রচেষ্টা) চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে যুদ্ধ বন্ধ করতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তবে তারা উভয় পক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখছেন না বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে দোহা ফোরামে বক্তৃতাকালে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলের মতোই যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী।

তার মতে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় আমেরিকানদের মারাত্মক সহিংসতার জন্য দায়ী করা উচিত।

এ ছাড়া জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলটিকে ‘মৃত্যুর গভীরে’ টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমরা একটি কঠিন মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছি, এমন একটি মুহূর্ত যা আমাদের মৃত্যু ও ধ্বংসের সাগরের আরো গভীরে নিয়ে যাবে।’