গাবতলী পশুর হাটের প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়নি
ঈদুল আজহার মাত্র ১৪ দিন বাকি থাকলেও রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য অধিকাংশ প্রস্তুতিই এখনো সম্পন্ন হয়নি।
হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বল্প পরিসরে প্রস্ততি শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও সব কাজ সময় অনুযায়ীই সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে এর পরিসর আরো বাড়ানো হবে। কারণ হাটে কোরবানির পশু আশা শুরু করেনি। আগামী সপ্তাহের পর এগুলো আসতে শুরু করবে তখন কাজ পুরোদমে শুরু হবে। মূলত হাট জমে কোরবানির ৩ থেকে ৪ দিন আগে।
শুক্রবার রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, মূল হাটের বাইরে ঈদের সময় পশু রাখার জায়গাগুলোতে বর্তমানে ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান, রিকশা রাখা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও আবর্জনার বিশাল স্তুপ। এ ছাড়া এখনো তৈরি হয়নি ইজারা কাউন্টার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও নজরদারি টাওয়ার।
তবে সল্প প্রস্তুতি হিসেবে হাটের ভেতরের রাস্তা পরিষ্কার, অপ্রয়োজনীয় কাদামাটি অপসারণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গণশৌচাগারের আশপাশে মাটি ফেলে তা ব্যবহার উপযোগী করছে কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া হাটে ক্রেতা উপস্থিতিও নেই বললেই চলে। ফলে পাইকাররাও গরু ওঠানো শুরু করেনি। বলা চলে এখনো অলস সময় পার করছে পশু বিক্রেতারা।
গাবতলী পশুর হাট ইজারাদার লুতফর রহমান বলেন, অনেক কাজই শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ইজারা দিতে যেন ভোগান্তি না হয়ে সেই লক্ষ্যে এ বছর আমরা ১০টি কাউন্টার তৈরি করব। ক্রেতাদের সহযোগিতার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের দেওয়া হবে আলাদা পোশাকও, যেন দেখলেই চেনা যায়। এ ছাড়া পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও নজরদারি টাওয়ারও নির্মাণ হবে।
গাবতলী পশুর হাটের কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ১৫ দিন আগে থেকে হাট শুরু হলেও মূল হাট শুরু হবে ঈদের ৩-৪ দিন আগে। কারণ, কোরবানির পশু কিনে রাজধানীবাসীদের তেমন রাখার জায়গা নেই। তাই কোরবানির আগে আগেই পশু কিনে তারা। তাই কোরবানির পশু আনতে শুরু করেনি বিক্রেতারা। আগামী সপ্তাহ থেকে তারা হাটে পশু নিয়ে আসা শুরু করবে। আর আগে পশু নিয়ে এলেও বিক্রি হবে দেরিতে। ফলে তাদের খরচ বেড়ে যায়। এ ছাড়া বৃষ্টি বাদলের দিন, পশু রাখার জায়গা নিয়েও একটু সমস্যা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন