গার্ডিয়ানের বর্ষসেরা টেস্ট দলে সাকিব-মুশফিক
বছর প্রায় শেষ। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সেরা একাদশ নির্বাচন। নতুন-পুরাতনের মোহনায় দাঁড়িয়ে বছরের সেরা টেস্ট একাদশ নির্বাচন করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান। বছর জুড়ে সাদা পোশাকে অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ ‘দ্যা স্পিন’স বেস্ট টেস্ট ক্রিকেট ইলেভেন অব ২০১৭’ তে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম।
সব মিলিয়ে বছরটা সত্যিই ভালো যায়নি বাংলাদেশ দলের। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হেরে। চলতি বছরে ৯ টেস্টের ৭টিতে হারের বিপরীতে জিতেছে মাত্র দু’টিতে। তবে জয় দু’টিকে বিশেষই বলতে হবে টাইগারদের জন্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসের শততম টেস্ট এবং প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পায় মুশফিকবাহিনী। বছরজুড়ে তরুণে ঠাসা দলটাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। মাঠের পারফরম্যান্সও ছিলো দারুণ। তারই ফল হিসেবে জায়গা হলো গার্ডিয়ানের বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে।
এই একাদশে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার, ৪জন। দুজন করে আছেন বাংলাদেশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ইংল্যান্ডের মাত্র একজন আছেন এই বর্ষসেরা একাদশে-
১. ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া) : বছরটা সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করেন ওয়ার্নার। আর বছরের শেষ টেস্টেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত আরেকটি শতরানের ইনিংস খেললেন। ৪৪.৮৮ গড়ে ৮০৮ রান নিয়ে তিনি আছেন এই একাদশে।
২. ডিন এলগার (দক্ষিণ আফ্রিকা) : ২০১২ সালে অভিষেক হওয়া এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান এ বছরই খেলেন ৫টি শতরানের ইনিংস। ৫৪.৮৫ গড়ে ১,০৯৭ রান করেছেন এলগার।
৩. চেতেশ্বর পূজারা (ভারত) : ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় পাড় করছে পূজারা। পূর্ণাঙ্গ টেস্ট খেলোয়াড় বলতে যা বোঝায় পূজারা তাই। এই ব্যাটসম্যান তার ধৈর্য্য ও অধ্যবসায়ের ফল পেয়েছেন ৬৭.০৫ গড়ে ১,১৪০ রান করে।
৪. স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া) : গত তিন বছরের ন্যায় এবছরও পঞ্জিকাবর্ষেই টেস্টে এক হাজারের বেশি রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তার রান ৭০.৪৩ গড়ে করেছেন ১১২৭ রান।
৫. বিরাট কোহলি (ভারত) : রান তোলায় কোন জুড়ি নেই ভারত অধিনায়ক কোহলির। চলতি বছর ৭৫.৬৪ গড়ে তিনি করেছেন ১০৫৯ রান।
৬. সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) : চলতি বছর ব্যাট বল উভয় ক্ষেত্রেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সাকিব। ৪৭.৫ গড়ে ৬৬৫ রানের পাশাপাশি ২৯টি উইকেটও আছে তার।
৭. মুশফিকুর রহীম (বাংলাদেশ) : লাল সবুজের দলের অধিনায়কত্ব হারালেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ভাস্বর ছিলেন মুশফিক। ৫৪.৭১ গড়ে ৭৬৬ রান করেছেন তিনি। ডিসমিসাল আছে ১৪টি।
৮. মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া) : ইনজুরির কারণে অ্যাশেজের আগে ৩ টেস্ট খেলেছেন। নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। অ্যাশেজে ফিরে এসে প্রথম তিন টেস্টেই পেয়েছেন ১৯ উইকেট।
৯. নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া) : চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩ উইকেট নিয়ে একাই স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়েছিল লায়ন। সারাবছর এমন বোলিং করে ২২.৯১ গড়ে উইকেট পেয়েছেন ৬০টি।
১০. জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড) : যত বয়স বাড়ছে এই পেসারের ধার ততই বাড়ছে। এবছর মাত্র ১৬.৮৬ গড়ে পেয়েছেন ৫১ উইকেট।
১১. কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা) : ডেল স্টেইন-ভারনন ফিল্যান্ডারদের ইনজুরিতে চলতি বছর দারুণভাবে সামলেছেন প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণ। ২০.৯৬ গড়ে পেয়েছেন ৫৪ উইকেট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন