গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোফাজ্জল গ্রেফতার

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খানকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহের গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের শিববাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

ময়মনসিংহের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ই জুলাই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া এলাকায় নিহত বিপ্লব, জুবায়ের ও নুরে আলম হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খান কে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) একটি দল শিববাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনজন হিতের ঘটনায় গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল আলম বাদী হয়ে ২২জুলাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন একটি মহল অবৈধভাবে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র অনুযায়ী বন্দুকধারী চার-পাঁচজন দুষ্কৃতকারী গুলি করে তিন তরুণকে হত্যা করে।

নিহত তরুণরা হলেন- উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চ‚ড়ালী গ্রামের বিপ্লব হাসান (২০), রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাঁও গ্রামের নূরে আলম সিদ্দিকী ওরফে রাকিব (২০) ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্ব কাউরাট গ্রামের জোবায়ের হোসেন।
ওই ঘটনায় পুলিশের মামলার পর ডৌহাখলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক আবদুর রহিম আকন্দ ও কৃষক দলের নেতা আবুল কাশেম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।

ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলা দুটিতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। তিন তরুণ হত্যায় প্রথম আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হলেন মোফাজ্জল হোসেন খান।