গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জামালপুরে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গাঁ
এক সময় জামালপুরে ব্যপক তরমুজ চাষ হতো। হারানো তরমুজ চাষ আবার ফিরে এসেছে। সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় জেলার ৭টি উপজেলায় ব্যপক আকারে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলন ও হয়েছে বাম্পার। বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষক মহলে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি নির্ভর এলাকা। এ উপজেলার এমন কোন গ্রাম নেই তরমুজ চাষ না হয়েছে। সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ শ্রীপুর, নান্দিনা, নরুন্দি, বাঁশচড়া, বালুরচর, কাজিয়ারচরে ব্যপক তরমুজ চাষ করার জন্য আগ্রহ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, তরমুজ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করেছে। উচ্চ ফলনশীল বীজ ও পরামর্শ দেয়ার কারনে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কথা হয় শ্রীপুর এলাকার তরমুজ চাষী কালামিয়া(৪০) এর সাথে তিনি এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। তিনি আরো জানান, সম্পূর্ন জৈব সার দিয়ে তরমুজ চাষ হয়েছে। বাজারে এ তরমুজের ব্যপক চাহিদা। নেয়া মাত্রই শেষ হয়ে যায়।
সরকারের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। ছড়িয়ে দিয়েছে তরমুজ চাষ। ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, বালিজুড়ি, মেষ্টা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে বেশ কয়েকজন তরমুজ চাষীর সাথে কথা হয়া তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, কৃষক বান্ধব আওয়ামীল সরকার গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক কৃষক পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন