গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলায় ‘বেআইনি ও নজিরবিহীনভাবে’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, এই কাজটি করার জন্যই বিচারিক আদালত থেকে অভিযোগপত্র ফিরিয়ে এনে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
রিজভী দাবি করেন, ‘২০১১ সালের ৭ এপ্রিল মুফতি হান্নানকে অমানুষিক নির্যাতন করে তাঁকে দিয়ে আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম বলানো হয়। তারেক রহমানের নাম বলানোর পর সে (মুফতি হান্নান) সুযোগ খুঁজছিল তা প্রত্যাহারের জন্য।’ এর পর রিজভী সাংবাদিকদের সামনে আদালতে দেওয়া মুফতি হান্নানের লিখিত জবানবন্দি তুলে ধরেন।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর সরকারের ক্রোধ, রোষ আর জিঘাংসা কত ভয়ংকর, তা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে ফুটে উঠেছে। তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে এই মামলায় জড়ানোর জন্য মুফতি হান্নানের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার করা হয়েছে।’
‘কীভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী মহাজোট সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে আইনি মুখোশে চক্রান্তের খেলা খেলছে, তা কারো অগোচর নেই,’ যোগ করেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা এ মামলায় আসামিরা ন্যায়বিচার পাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “এ মামলায় তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতা ও সরকারের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ন্যায়বিচার পাবেন কি না, সেটি নিয়ে জনগণের প্রশ্ন এখন দীর্ঘতর হচ্ছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজেই বলেছেন, ‘যে দেশে প্রধান বিচারপতিই ন্যায়বিচার পায় না, সে দেশে সাধারণ মানুষ কীভাবে ন্যায়বিচার পাবে?’”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন