ঘুষ খাওয়া কি সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ : দুদক চেয়ারম্যান
সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ফৌজদারি অপরাধে কাউতে গ্রেফতার করা যাবে না—এমন আইন দুর্নীতি দমক কমিশনের (দুদক) কাজে বাধা সৃষ্টি হবে না বলে মনে করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আইনে বলা হয়েছে, সরকারি দায়িত্ব পালনকালে সংঘটিত ফৌজদারি অপরাধে কাউতে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু ঘুষ খাওয়া কি সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ? তাহলে অসুবিধা কোথায়।’ বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যে আইন পাস হয়েছে, এটা এখনও দেখিনি। পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। পত্রিকায় যতটুকু দেখেছি, তাতে দুদকের কোনও অসুবিধা নেই। বরং সহযোগিতা হবে।’ তিনি বলেন, ‘এই আইনের কারণে দুদকের কোনও অসুবিধা হবে কিনা? এটা জানতে চান, আমাদের কোনো অসুবিধা বা সমস্যা হবে না।’
সরকারি অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না—এ প্রসঙ্গে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘শুনুন গ্রেফতারের বিষয়টা অন্য বিষয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন, গ্রেফতার করতে হবে, পালানোর আশঙ্কা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে গ্রেফতার করবেন। কোনও অসুবিধা নেই।’ এই আইনের বিষয়ে দুদকের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ নেওয়ার তো কোনও প্রয়োজন নেই। দেশে যে আইন হবে, তা আমরা পালন করবো।’
দুদকের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভাই আমি তো ল’ ইয়ার না। আমি বলতে পারবো না। যে ঘুষ খাবে, তাকে ধরতে দুদকের কোনও অসুবিধা হবে না।’
দুদকের ফাঁদ পেতে আসামি ধরা চলবে কিনা, জনতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবই চলবে। কোনও কিছুই অসুবিধা হবে না। কোনও দেশে কখনও আইন হয় না, যে ঘুষ খাওয়া ভালো, মিথ্যা কথা বলা ভালো, কেউ কোনোদিন বলে? বলে না। যারা এই আইনে খুশি হবে, তারা আসলে ইন্টেলিজেন্স (বুদ্ধিমান) লোক না। যারা ঘুষখোর, তাদের উৎসাহিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘এটা কেবল সংসদে পাস হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে, তারপর গেজেট আকারে প্রকাশ হোক। তখন কথা বলা যাবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন