ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড বাঁশখালী, গাছের চাপায় বৃদ্ধার মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় হামুনের মূল অংশ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। এর আঘাতে পুরো বাঁশখালী লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস তছনছ করে দিয়েছে মানুষের সবকিছু। বাড়ির ওপর পড়া গাছের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন উত্তর সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল গ্রামের কবির আহম্মদের স্ত্রী অজ্ঞাত (৭০)।

বাঁশখালীর ১টি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে অন্তত ৫ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বাঁশখালীর প্রায় সবকটি গ্রামই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। বনজ-ফলজ গাছ, ক্ষেত-খামার তছনছ করে দিয়েছে হামুন। বৈদ্যুতিক তারের ওপর ও প্রধান সড়কের ওপর বিশাল বিশাল গাছ পড়ে বিদ্যুৎসংযোগ এবং সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

পাড়ায় পাড়ায় ও গ্রামের অলিগলির রাস্তাঘাটও বন্ধ হয়ে গেছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, ‘পুরো বাঁশখালীতে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। উত্তর সরল গ্রামে বাড়িতে গাছচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আমাদের উপজেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্গতদের সহযোগিতা করা হবে।’
বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘পুরো বাঁশখালীতে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা রাত থেকেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে পুঁজি করে কেউ কারো সামাজিক ক্ষতিতে করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।’

বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রিশু কুমার ঘোষ বলেন, ‘বাঁশখালীর প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে বিশাল গাছ পড়ে পাঁচটি খুঁটি ভেঙে গেছে।

৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের ১টি টাওয়ার ভেঙে গেছে। গ্রামের অলিগলির চিত্র বর্ণনা করার মতো নয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ঘুম কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’