চলে গেলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বার
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আব্দুল জব্বার আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ছেলে বাবু জব্বার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বাবার লাইফ সাপোর্ট কাজ করছে না।’
অপর ছেলে মিঠুন জব্বার জানান, সকাল নয়টার দিকে আবদুল জব্বারের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে।
আব্দুল জব্বারের চিকিৎসা সহায়তা সমন্বয়ক আলী আশরাফ আখন্দ বলেন, ‘এ কিংবদন্তি শিল্পী আর নেই।’
মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন এ শিল্পী। ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান জানান, আব্দুল জব্বার ক্রনিক কিডনিজ ডিজিস (সিকেডি) স্পেস ফোরে ভুগছেন। এছাড়া তার লিভারে সমস্যা ছিল।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এ শিল্পীর গাওয়া বিভিন্ন গান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা ও মনোবল বাড়িয়েছে। গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে গণসংগীত গেয়ে পান ১২ লাখ টাকা, যা স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। তিনি প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনমত তৈরিতেও নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়’সহ অসংখ্য গানের গায়ক আব্দুল জব্বার। তার গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ ও ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান তিনটি ২০০৬ সালের মার্চ মাসে বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি গানের তালিকায় স্থান পায়। তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (১৯৯৬) ভূষিত হন।
আব্দুল জব্বার ১৯৩৮ সালের ৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন