চাঁদপুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ : অভিযুক্তের স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতিতকে মারধর!
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে ২৩ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ওই বাড়ির লোকজন। অভিযুক্ত শাহ আলমের (৫৫) বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, শাহ আলম তার বাড়ির ঐ মেয়েটির সাথে বিগত মাস খানেক ধরে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। সুযোগ ফেলেই সে মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। ১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত শাহ আলম তার ভাইয়ের খালি বাড়িতে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার সময় এ দৃশ্য দেখে পেলে তার ভাবী।
এ দৃশ্য দেখাতে শাহ আলমের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ডেকে নিয়ে আসে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহ আলম পালিয়ে যায়। ফাতেমা বেগম স্বামীকে না পেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ইচ্ছে মতো মারধর করে। মেরে তার হাতে পিঠে দাগ ফেলে দেয়। প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে মারার ঘটনা অস্বীকার করে ফাতেমা বেগম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বার বার বলছেন, ফাতেমা আমাকে অনেক মেরেছে। আমার গলা টিপে ধরেছে এবং শাহ আলম আমার ইজ্জত নষ্ট করেছে।
প্রতিবন্ধীর মা সাংবাদিকদের বলেন, এই লম্পট আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটির সর্বনাশ করেছে। তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম স্বামীর কিছু করতে পারে না কিন্তু আমার মেয়েকে মেরে কী করেছে দেখেন। এই বাড়িতে শাহ্ আলম আরো ঘটনা ঘটিয়েছে।
থানায় অভিযোগ করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাবা ২৩ দিন আগে আমার ছেলে আবু সায়েদ (২০) সৌদি আরবে মারা যায়। আমি মানসিকভাবে ভালো নেই। তার উপর এই ঘটনা। আমার স্বামীও বিদেশে। সংসারে কোনো পুরুষ নেই। থানা পুলিশ আমি বুঝি না। কে করবে এই জামেলা?
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং বাড়ির লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাড়ির লোকজনের বক্তব্য মেম্বার আজ (২ নভেম্বর) রাতে সমাধানের লক্ষ্যে বাড়িতে বসবেন। সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া অভিযুক্ত শাহ আলমের পরিবারের সাথে করে ধর্ষিত ঐ নারীর পরিবারকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হাসিনা আক্তার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী মেয়েটির মাকে বলেছি- এটা আমাদের কাজ নয়। আপনারা থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন-অর রশিদ জানান, ধর্ষণের বিষয়টি আমি জানি না। প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে মেরেছে শুনেছি। কি কারণে মেরেছে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলাম ও হাসিনা আক্তারকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা এখনো আমায় বিষয়টি জানাননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন