চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ি-ঘরে হামলা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের দিনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হোসাইন আহমেদ রাজন শেখের সমর্থক ও তার বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। একইদিন পৃথক দুটি ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৩ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদের সামনে এবং পরে প্রার্থীর বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। দু’ দফা হামলায় আহত হন প্রার্থীর সমর্থক মন্তী খান (৪০), আমির হোসেন (৩৬) ও সাইফুল ইসলাম (৩৬), প্রার্থীর মা আজিমা বেগম (৫৩), বোন পপি বেগম (৩০), ফুফু তাহেরা বেগম (৫০) ও খায়েরের নেছা (৫৪)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে চিকিৎক তাদের আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, আমাকে গত কয়েকদিন যাবত বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে আমি যাতে নির্বাচন থেকে সরে যাই। রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে আমি প্রতীক নিয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। সেখানে ৩ জন আহত হয়।
এর কিছুক্ষণ পর পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে আমার বাড়িতে হামলা হয়। মোটরসাইকেলযোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসব হামলাকারী বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এ সময় তারা আমার মা, দুই ফুফু এবং বোনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে দ্রুত ‘৯৯৯’ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশের এসআই আনোয়ার জানান, ‘৯৯৯’-এর ফোনের প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদ হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার কাজী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন