চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দশমী পূজা ও বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হাজারো ভক্ত-অনুরাগীর অংশগ্রহণে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) মহান বিজয়া দশমীর দিন উপজেলার বিভিন্ন পূজা মÐপে পূজা-অর্চনা, সিঁদুর খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।

এবার হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট ২৯টি পূজা মÐপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি ঘটপূজা ও তিনটি মÐপের প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে প্রতিমা সংরক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মন্দিরগুলো হলো— হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল চৌধুরী বাড়ি পূজা মÐপ, ৬ নম্বর পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের সার্বজনীন পূজা মÐপ এবং ১২ নম্বর ইউনিয়নের সূর্যমনি সরকার বাড়ির পূজা মন্দির। অন্যদিকে বাকি ২৫টি পূজা মÐপের প্রতিমা ভক্তরা নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে বিসর্জন দেন।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন মÐপ থেকে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। শুধু হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার পাঁচটি পূজা মÐপের প্রতিমা পৌর মহাশ্মশান সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়, যা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। বিসর্জনের সময় ভক্তরা ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মাতিয়ে তোলে পরিবেশ।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রোটারিয়ান রুহিদাস বণিক বলেন, “ধর্মীয় স¤প্রীতির মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে, যা আমাদের জন্য গর্বের।”

একই সাথে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রাণ কৃষ্ণ সাহা মনা বলেন, “এবারের পূজা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতা প্রশংসনীয়।” বিভিন্ন মÐলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও পূজার সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

আনন্দ-উল্লাসে ভক্তরা বিদায় জানালেও আগামী বছরের দুর্গোৎসবের অপেক্ষায় এখন থেকেই দিন গুনতে শুরু করেছেন হাজীগঞ্জের সনাতনী স¤প্রদায়ের মানুষ।