চাঁদা আদায় নিয়েই কক্সবাজারে নারী পর্যটক অপহরণ, ধর্ষণ
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও প্রধান আসামি মো. আশিকুল ইসলামকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আশিক ও তার সহযোগীরা ওই নারী ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে লাবণী বিচ এলাকার রাস্তা থেকে তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আশিকুল ইসলাম ওই নারীকে ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক করে রেখে তার স্বামীর কাছে আবারও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমকে হোটেলে আটকে রেখে আশিক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি স্থানীয় মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে আশিক আত্মগোপণে চলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনার দুদিন পর সে বেশভুষা পরিবর্তন করে কক্সবাজার থেকে একটি এসি বাসযোগে ঢাকায় আসে। এরপর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তাদের সঙ্গে আট মাস বয়সের একটি শিশুসন্তান রয়েছে। শিশুটির জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র থাকায় তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। শিশুটির চিকিৎসার অর্থ সংকুলানের আশায় স্বামীসহ কক্সবাজারে অবস্থান করছিল পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চাইতেন। এসময় তিনি অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন