‘চাই লও, বাছি লও তরতাজা ইলিশের কেজি ৩০০’

ইলিশের কেজি ৩০০! শুনে চোখ কপালে ওঠলেও কথাটি সত্যি। ভরা মৌসুমে সাগর থেকে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ। আর এর ফলে ৮০০ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০০ টাকায়। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি বাজারে এত কম দামেই বিক্রি হচ্ছে রাজকীয় এই মাছ।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকালের রোদে রূপালি এই ইলিশ ঝিলিক মারছিল মাছ বিক্রেতাদের খাচায়। আর ক্রেতারাও ঘুরছিলেন ইলিশের আশপাশেই। ক্রেতাদের আর একটু কাছে টানতে মাছ বিক্রেতা আব্দুর সত্তারের হাঁকডাক-‘চাই লও, বাছি লও, কেজি ৩০০’ (দেখে নেন, বেছে নেন, কেজি ৩০০ টাকা)।

কয়েক সপ্তাহ আগেও যে ইলিশের কেজি ছিল যেখানে ৮০০ টাকা, সেই মাছের দাম ৩০০ টাকা হওয়ায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। জানা যায়, বাজারে মাঝারি আকারের ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। তবে এর চেয়ে বড় ইলিশের দামে ৫০ টাকা বাড়তি, বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

কাজীর দেউড়ি এলাকার বাসিন্দা মো.ইয়াকুব জানালেন, এত দাম কমেছে ইলিশের, কল্পনার মতোই মনে হচ্ছে। কেননা চলতি মাসের শুরুতে ৮০০ টাকা পর্যন্ত ছিল ইলিশের দাম। এখন ৮০০ টাকায় প্রায় তিন কেজি নিতে পারছি। মাছও অনেক ভালো, তরতাজা।’

কাজীর দেউড়ি বাজারে জসিম উদ্দিন নামে এক মাছ দোকানি বলেন, ‘বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ অনেক বেশি। আড়তে এই মাছের দামও কম, তাই আমরা অল্প লাভ করেই ছেড়ে দিচ্ছি।’

আড়তে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, সরকারের তরফ থেকে অসময়ে মাছ না ধরার নির্দেশনা কার্যকর হওয়ায় এবার সাগরে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। সামনে ইলিশের দাম আরও কমতে পারে।

এদিকে বাজারে চিংড়ি, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও কই সহ নানা ধরনের মাছ থাকলেও সেদিকে ক্রেতাদের নজর যাচ্ছে খুবই কম। বেশিরভাগ ক্রেতার দৃষ্টি ছিল ইলিশ মাছের দিকে। এদিকে বাজারে রুই মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, কাতলা মাছ ৪৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ আকারভেদে ৯৫০, ৬০০ ও ২২০ টাকা, কই মাছ (ফার্ম) ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০, লইট্টা ১৪০ টাকা ও বাটা মাছ ৪০০ টাকা।