চাইনিজ খাবার সম্পর্কে কিছু অজানা কথা
চাইনিজ খেতে প্রায় সকলেই ভালবাসেন। তবে নিয়মিত এই খাবার খেতে অভ্যস্ত হলেও আসল চাইনিজ খাবার ঠিক সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি না আমরা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন চাইনিজ খাবার সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা কথা-
১। চাইনিজ রেস্তরাঁয় খেতে গেলে আমরা স্যুপ দিয়ে খাওয়া শুরু করি। চাইনিজদের কাছে কিন্তু স্যুপ মোটেও অ্যাপিটাইজার নয়। স্যুপ তারা মেন কোর্স হিসেবেই খেয়ে থাকে।
২। যদি ভেবে থাকেন চাইনিজ খাবারের মধ্যে নিরামিষ খাওয়ার বেশি সুযোগ নেই তা হলে ভুল ভাবছেন। কারণ চাইনিজরা অনেক বেশি প্রকার সবজি খেতে অভ্যস্ত। চীনে তেতো শশা, বিভিন্ন রকম শাকের ফলন প্রচুর। যা সবই রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
৩। চাইনিজরা সব কিছুই বাইট সাইজ তৈরি করেন। যাতে সহজেই চপস্টিক দিয়ে খাওয়া যায়। চিনারা ছুরি বা কাঁটা ব্যবহার করেন না। তাদের কাছে এগুলো অস্ত্র।
৪। চীনারা চাল ও ময়দার পার্থক্য নিয়ে খুব সচেতন। উত্তর চীনে শীত বেশি। তাই সেই অঞ্চলের মানুষরা ডাম্পলিং, নুডলস সবই তৈরি করেন ময়দা দিয়ে। অন্য দিকে দক্ষিণ চীনে শীত কম। সেই অঞ্চলের মানুষরা মূলত চাল দিয়ে তৈরি করেন তাদের মিল।
৫। আমরা রেস্তরাঁয় গিয়ে বোনলেস চাইনিজ খাবার অর্ডার করলেও প্রকৃতপক্ষে চীনারা কিছু ফেলেন না। মাংস হাড়সহ খাওয়ারই প্রচলন চীনে। এমন ভাবে রান্না করা হয় যাতে হাড় নরম হয়ে যায় ও তা চিবিয়ে খাওয়া যায়।
৬। সারা বিশ্বের চাইনিজ রেস্তরাঁয় খাবারের পর ফরচুন কুকি দেওয়া হয়। শুধু চীনে দেওয়া হয় না। কারণ চাইনিজরা ফরচুন কুকি কী তা জানেন না। ১৯৯০ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে ফরচুন কুকির চল শুরু হয়।
৭। চাইনিজ খাবারের প্রচুর ফ্লেভার রয়েছে। চাইনিজ মেডিসিন অনুযায়ী যে কোনও খাবের মিষ্টি, টক, নোনতা, তেতো ও ঝাল এই পাঁচ স্বাদের সমতা থাকা প্রয়োজন। সিজুয়ান চাইনিজে যেমন ঝালের মাত্রা বেশি, তেমনই আবার ক্যান্টোনিজ খাবারে ঝাল, মশলার মাত্রা একেবারেই কম।
৮। চীনে একই খাবার নানা ভাবে তৈরি করা হয়। চিকেন স্টিমড, ফ্রায়েড, স্টার ফ্রায়েড, পিকলড ইন ব্রাইন, ডিপ ফ্রায়েড, রোস্টেড, সঁতে নানা রকম ভাবে রান্না করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন