চাকরি রাজস্বকরণের দাবি সিএইচসিপিদের
কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বকরণ ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।
এই দুই দাবি আদায়ে বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদ ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে অগ্রগতি না হলে আগামি সোমবার থেকে দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপিকে নিয়ে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেয় সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান দপ্তরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট থেকে সিএইচসিপিরা এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০১১ সালে রিভাইটালাইজেন অব কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ নামক প্রকল্প নেওয়া হয়। ক্লিনিক পরিচালনায় ১৩ হাজার ৮৬১ সিএইচসিপি নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন সচিব শাহনেওয়াজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বকরণ করা হচ্ছে। সাকুল্যে বেতন ৯ হাজার ৩৫০ টাকা ধরা হলেও শুরু থেকে ১৪তম গ্রেড করে ৮ হাজার ৫৫০ টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়। ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি)-তে অন্তর্ভুক্ত করার পর বেতন-ভাতাদি জিওবি খাত হতে দেওয়া হয়। ওপিতে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ কখনই দেয়নি।
তারা আরও বলেন, ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেলে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন-ভাতাসহ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০১৬ সালে কর্তৃপক্ষ ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিলে সিএইচসিপিরা হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার রায় দিলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন। পরে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টে ন্যস্ত করে। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ট্রাস্ট আইন পাস হলেও দীর্ঘ ৬ বছরে কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি।
গত ১৩ বছর ধরে সারাদেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপি চাকরিতে বৈষম্য ও চরম শোষণের শিকার হয়েছেন। ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ ১৫ সদস্যকে বারবার বলার পর তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন। এখন সারাদেশের সিএইচসিপির দাবি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে দ্রুত অপসারণ করে তাদের চাকরি রাজস্বভুক্ত করতে হবে।
এসময় সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নইম উদ্দিন, সহ-সভাপতি রায়হান, ফেরদৌস, কামাল সরকার আবুল কাসেম ওসমানী, মালেক ভুইয়া, রেজা হাসিব খান, শাকিল আহমেদ, মাহবুব অন্তর, কেএম রুবেল, লিংকন, বিলাল আহমেদ বিএম আফজল ও সুমন মাতবরসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন