‘চাচ্চু’র সেই ছোট্ট দীঘিকে দেখে স্মৃতিকাতর ডিপজল!
গ্রামীন ফোনের ‘বাবা জানো, আমাদের একটা ময়না পাখি আছে না, সে আজকে আমার নাম ধরে ডেকেছে…’ -এমন একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন ছোট্ট দীঘি। এরপর অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্রেও অভিষেক ঘটে তার। ‘চাচ্চু’ নামের সিনেমা দিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় ফেলে দেয় সেই ছোট্ট মেয়েটি! আর সেই পুরনো দীঘিকে দেখেই কিছুটা যেনো স্মৃতিকাতর ডিপজল!
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবি দিয়ে শিশু শিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটলেও ‘চাচ্চু’র মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন দীঘি। এরপর লাগাতার বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তবে বড়ো হওযার সাথে সাথে লেখা পড়ার চাপ বাড়ায় হঠাৎই চলচ্চিত্র থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এমনকি মিডিয়া অঙ্গনে আর দেখা মেলেনি তার। তার বাবা অভিনেতা সুব্রত জানিয়েছিলেন, লেখা পড়া শেষ করে পরবর্তীতে মিডিয়ায় আসবে তার মেয়ে!
তবে অভিনয় ছাড়াই গেল ৫ মে এফডিসিতে দেখা গেল ছোট্ট দীঘিকে। কারণ, তার বাবা সুব্রত সানি-অমিত প্যানেল থেকে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আর বাবার জন্য ভোট চাইতেই দীর্ঘদিন পরে এফডিসিতে এসছিলেন তিনি। আর এখানে এসেই দেখা হয় অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে। তাকে দেখেই নাকি স্মৃতিকাতর হয়ে যান ডিপজল।
আর তার প্রমাণ পাওয়া গেল যখন, নির্বাচনকালীন সময়ে দীঘির একটি ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন ডিপজল। লিখেন, ছোট্ট সেই দীঘি মামনিটা আজ কত বড় হয়ে গেছে। দোয়া করি মা তুমি আরও বড় হও। শুভ কামনা রইল তোমার জন্য।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী দীঘি এখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। আর বছর খানেক পরেই দিবে এসএসসি পরীক্ষা। আর তারপরেই নাকি চাইলে ফিরতে পারবে চলচ্চিত্রে। এমন ইঙ্গিতই দিলেন দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত বড়ুয়া। ২০০৫ সালে ‘কাবুলীওয়ালা’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় নাম লেখানো ছোট্ট দীঘি প্রথম ছবিতেই অভিনয়ের জন্য অর্জন করে নেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ধীরে ধীরে তিনি করেন ‘চাচ্চু’, ‘দাদীমা’, ‘বাবা আমার বাবা’র মতো সিনেমা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন