চামড়া নিয়ে হাহাকার দেশজুড়ে, ভারতে পাচারের আশঙ্কা
ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরসহ দেশের বিভাগীয় এবং জেলা শহরে চামড়া বেচাকেনায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত দাম কম থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় ভারতে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে ভোর থেকেই চামড়া গুদাম এলাকায় অপেক্ষা করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চামড়া বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েন তারা। পাইকার ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় অর্ধেক দামে। এ কারণে চামড়া বিক্রি না করে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।
রংপুর: রংপুরেও চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনে সেই দামে বিক্রি করতে পারছেন না তারা। গেল বছর যে চামড়া এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।
রংপুরের চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘ট্যানারি মালিকের কথা হলো যে আমরা ৪৫ থেকে৫০- এর ঊর্ধ্বে চামড়া কিনবো না। এরজন্য চামড়ার বাজারটা কমে গিয়েছে। বিশ্বে চমড়ার বাজারে দাম কমেনি। ভারতে চামড়ার বাজার ঠিক আছে। আশপাশের দেশে চামড়ার বাজার ঠিক আছে। আমাদের এখানে কমলো কেন?’
খুলনা: খুলনায় কোরবানির পশুর চামড়ার সংগ্রহ ও লবণজাত করণে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটের কারণে এখানেও তেমন দাম পাচ্ছেন না তারা। এবছর খুলনা অঞ্চলে প্রায় ৩০ হাজার কাচা চামড়া বেচাকেনা করার আশা ব্যবসায়ীদের। তবে সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
খুলনা জেলা কাচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ঢালী বলেন, ‘দাম কমার কারণে এবং খুলনা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে পাশের দেশে বিপুল পরিমাণ চামড়া পাচার হয়ে গেছে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, দেশ ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এছাড়া ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের পর চলছে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন