চুয়াডাঙ্গায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু, একমাসে শনাক্ত ১০ গুণ


গত ৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও সকল কার্যক্রমই ভেঙে পড়েছে। সামাজিক জননিরাপত্তা সেবামূলক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজও বর্তমানে চোখে পড়ছে না। আর সেকারণেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলায় অজান্তেই বিরাট আকারে ডেঙ্গু মশার উপদ্রুব বৃদ্ধি পেয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। অথচ মশাকে দমন করার প্রয়োজনীয়তা রক্ষা হয়নি। ফলে গত আগস্ট মাসের তুলনায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ গুণেরও বেশি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আগস্ট মাসের পুরুষ বিভাগে ৯জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, জ¦রকে সন্দেহ হলে গত আগস্ট মাসে ৪৬ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে। তার মধ্যে ৩জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হন। একই রকমভাবে সেপ্টেম্বর মাসেও ১৫৬ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ায় একমাসে ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ গুণেরও বেশি।
(২ অক্টোবর) বুধবার সদর হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের অন্যান্য রোগীর সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে আলাদাভাবে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা এখনও করা হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, গত এক মাসের তুলনায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ গুণ।
এসব রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতাল থেকে করা হচ্ছে। আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে ও জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা, সঠিক চিকিৎসা নেয়া এবং সচেতন হওয়া জরুরি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন