চুয়াডাঙ্গায় হোক সুষ্ঠু নির্বাচন; বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আটক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী রয়েছে মাত্র ৫/৬ মাসের মতো। এ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’দলই ক্ষমতায় আসতে লড়াইয়ের মাধ্যমেই টিকে থাকার সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষের ভোটেই তারা রাষ্ট্রীয় চেয়ারে বসবে। কিন্তু সব রাজনৈতিক দলই সাধারণ জনগণকে মূল্যহীন করে রেখেছে। তাই তো কোনো রাজনৈতিক দলই জনগণের কথা না ভেবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। তবে বিএনপিকে নিয়ে ভাবছে না আওয়ামী লীগ।

এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজপথ অস্থির করে তোলার বিশেষ সম্ভাবনায় সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে বলেও ধারণা সচেতন জনগণের। তাই হামলা মামলা বাদ দিয়ে জনগণকে রাজনৈতিক দলের প্রতি আস্থা ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত সবদলেরই।
কিন্তু নির্বাচনে মাঠ দখল নিয়ে বিএনপিকে তেমন একটা আমলে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ।

অপরদিকে, বিএনপিও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অনড়ের মধ্যদিয়েই নাশকতা মামলায় বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হচ্ছে চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশেই। তারই অংশ হিসেবে দর্শনায় পৌর বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ আগস্ট) তাদেরকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে তাদেরকে আটক করে দর্শনা থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। সেসময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর বিএনপির সহ—সভাপতি হাবিবুর রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন, ছাত্রদল নেতা সোয়েব আকতার, আসিব হাসান, ফয়সাল হোসেনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, আজ (৫ আগস্ট) শনিবার দুপুরে তাদের নাশকতা মামলায় কোর্টে চালান করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।