চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুরে দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রোববার বিকালে দুই জনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই ধর্ষকেই গ্রেফতার করেছে।
ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দীন জানান, রোববার সকালে মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া গ্রামে ১৩ বছরের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গ্রাম চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধর্ষিত শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, ওই শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসক সাইফুলের কাছে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জ্বর একটু ভাল হলে রোববার আবারো তাকে দেখা করতে বলে চিকিৎসক সাইফুল।
তার কথামত রোববার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী একাই চিকিৎসা নিতে গেলে কথিত চিকিৎসক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে কথিত চিকিৎসক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর রোববার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিশিন্তপুর গ্রামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, উপজেলার নিশিন্তপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে অপহরণ করে একই এলাকার গোলাম মোস্তাফার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন শহীদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার বিকালে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
একই সাথে অপহরণকারী সাখাওয়াত হোসেনকেও আটক করা হয়। অপহরণের পর ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ করলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবীর জানান, রোববার বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন