চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ; ভাংচুরসহ টাকা স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সদ্য অনুষ্ঠিতব্য বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ৮ জনকে আহত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলো সুটিয়া গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে সোহাগ (৩৫), জাহিদুল ইসলামের ছেলে পানতা (২৫), মহিউদ্দিনের ছেলে বরকত (৩৫), মহি মল্লিক (৬৫), ইউসুফ আলীল ছেলে আবুল কাশেম (৩৭), ইউসুফের ছেলে লতিফ (৪০), আজেহার আলীর ছেলে শফি (৫০) ও মৃত বারী মন্ডলের ছেলে উসমান গনি (৫৮)।
আহত ব্যক্তিদের মামলায় অভিযু্ক্তদের মধ্যে আব্দুল অহেদের ছেলে হোসেন আলী, মনির উদ্দিনের ছেলে মহীউদ্দীন মল্লিক ও নুর ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে, ওই গ্রামের ফয়েজদ্দীন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।
এরপর থেকে গ্রেপ্তার ভয়ে গোটা গ্রামের জামায়াত বিএনপিসহ সাধারণ মানুষ পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসী ও আহত ব্যক্তি সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ইউপি নির্বাচনের অংশ হিসেবে বাঁকা ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছিল। সেসময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমানের কর্মীদের সুটিয়া গ্রামের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটি হয়।
তারই জের ধরে গতকাল (১৭ মার্চ) শুক্রবার সুটিয়া গ্রামের মৃত ইসলাম মন্ডলের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা হারুনুর রশীদ, ওমেদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন, রহমান মেম্বার, গোলাম খন্দকারের ছেলে ইসমাইল ও তার ছেলে আকাশের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের সামনে জুম্মাত আলীর ২০ সমর্থক সোহাগ, পান্তা, মহি মল্লিক, জাহিদুলসহ আরো কয়েকজনের ওপর হামলা করে।
সেসময় জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করাসহ একইসাথে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ও বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মফিজুরের বাড়িতেও ভাংচুরে করা হয়। ভাংচুরকালে তার বাড়ি থেকে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ইউনুচ আলীর বাড়ি থেকে ১ ভরি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয় হবে। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন