চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের মেহেদীর রঙ না মুছতেই প্রাণ গেল বরের
বিয়ে বাড়ী মানেই আনন্দ উল্লাস গান বাজনা রঙ মাখামাখির ছড়াছড়িতে উচ্ছ্বসিত থাকে বর কনে উভয়ের বাড়ীতেই। মুখে ক্ষির দেয়া হাতে মেহেদি লাগানোসহ থাকে কত রকম কাজ। বিয়ের নির্ধারিত দিন না আসা পর্যন্ত হাতে লাগানো মেহেদির রঙই মনে করিয়ে দেয় বিয়ের অনুভূতি। জাগে কত রকম স্বপ্ন। বিয়ের কার্যক্রম একদিনে শেষ হলেও হাতে লাগানো লাল টকটকে মেহেদির রঙ মোছে না সহজে।
নতুন সম্পর্ককে ঘিরে বিয়ের আমেজও যেন কাটেনি বর কনের উভয়ের বাড়ীতেই। শ্বশুর বাড়ীর আয়ের গায়ের শেষ করে সাংসারিক জীবন শুরু করবে প্রবাসী আল মামুন। সে লক্ষ্যেই শ্বশুর বাড়ী থেকে বরের বাড়ী ফিরছিলেন নতুন বর প্রবাসী মামুন। সংসার জীবন শুরু হবে তাদের। দুজনেই হাতের মেহেদি রঙের ছাপও মোছেনি এথনও। তার আগেই প্রাণ হারিয়ে গেল বর মামুনের।
শ্বশুর বাড়ী থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামে ফিরছিলেন প্রবাসী যুবক আল মামুন (২৬)।
শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যার দিকে আলমডাঙ্গা- হাটবোয়ালিয়া সড়কের দাসপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে অপর দিক থেকে আসা এক মোটরসাইকেল চালকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সেসময় স্থানীয়রা উদ্ধার দুজনকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রবাসী নতুন বর মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মামুন উপজেলার কুলপালা গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে। অপর মোটরসাইকেল চালক রাজিবুল ইসলামও মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার এক চোখ বের হয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আহত রাজিবুল আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। আল মামুন দীর্ঘদিন সৌদি প্রবাসী ছিলেন। প্রায় দেড় মাস আগে তিনি দেশে আসেন। গত ২২ ডিসেম্বর তিনি বিয়ে করেছেন জেলার ডিঙ্গেদহ গ্রামে। তাদের বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১৫ দিন।
রবিবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করতে রাজি হয়নি। তাই ময়না তদন্ত ছাড়াই আইনানুযায়ী লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন