ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ
রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হাসান নাঈমের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের নিয়ে এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের পর চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে আমজাদ হোসেন নামে ওই যুবককে ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা নাঈমের অনুসারীরা। এর পর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়িতে ফোন দিয়ে দাবি করা হয় চাঁদা। পরে রাতে নগরীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে আমজাদকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহাগ নামে এক ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আহত আমজাদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। তিনি রাজশাহীর মোহনপুরের গোছাবাজার গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। পড়াশোনা শেষে তিনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের ব্যবসা করেন।
আমজাদ বলেন, বুধবার দুপুরে নগরীর শিরোইল এলাকায় অবস্থান করছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী রকি আমাকে সাহেববাজারে ডাকেন। রকির বাড়িও মোহনপুরের গোছাবাজার। তিনি আমার প্রতিবেশী। এর পর আমি সাহেববাজার গেলে ছাত্রলীগ নেতা নাঈমের নেতৃত্বে রকি, আশরাফুল, শরিফুল, রায়হান ও রতনসহ কয়েকজন কথা আছে বলে রাজশাহী সিটি কলেজ হোস্টেলের দোতলায় নিয়ে যায়। এর পর আমাকে লাঠি ও লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে আমার পরিবারের সদস্যদের ফোন দিয়ে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন নাঈম। প্রথমে বিকাশের মাধ্যমে ৩০ হাজার এবং পরে আমাকে ফেরতের সময় বাকি টাকা দেওয়ার কথা হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর আমজাদের স্ত্রী জেসমিন খাতুন পুলিশে অভিযোগ করেন। এর পর আমজাদের মোবাইলের নম্বর ট্রেস করে তার অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। বিষয়টি বুঝতে পেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমজাদকে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় সোহাগ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা নাঈম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। নাঈম নামে আরেকজন ছাত্রদলকর্মী আছেন। তিনি ছাত্রদল রাজশাহী কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভের অনুসারী। ছাত্রদলকর্মী নাঈম এ কাজটি করে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যস্ত ছিলাম। নিজ দলের কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নাম পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না।
তবে এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপপরির্দশক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আমজাদের স্ত্রী অভিযোগ দিয়েছেন। সোহাগ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কিনা- সেটি বলতে পারব না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন