ছেলেকে পানিতে চুবিয়ে মারলেন মা, কারণ…!
ছেলের কান্না আর সহ্য হচ্ছিল না। ঘ্যানঘ্যান কান্নার হাতে থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় খুঁজছিলেন মা। মোবাইলে ইন্টারনেট ঘেঁটে খুঁজতে শুরু করেন নানা রকম পন্থা। ‘কী ভাবে তাড়াতাড়ি মৃত্যু হয়’, পানিতে চুবালে মৃত্যু হতে কত সময় লাগে, এমন পাঁচ বাবা-মা যারা সন্তানদের খুন করেছেন, কেন বাবা-মা সন্তানদের খুন করলেন— এমন বেশ কয়েকটি বাক্য দিয়ে সার্চ করেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার বছর উনিশের জেনা ফোলওয়েল।
সার্চ করা বিষয়গুলোর মধ্যে থেকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন খুন করা একটি পন্থা। নেট ঘেঁটে পাওয়া সেই বর্ণনা মতোই নিজের এক মাসের ছেলের কান্না একেবারের জন্য থামিয়ে দিতে বাথরুমের পানিতে চুবান। কিছুক্ষণ ছটফট করার পরই নিথর হয়ে যায় ছোট্ট রেইনারের দেহটি।
বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রেইনারের দেহটা একটা ব্যাগে ভরে বাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে রাখেন জেনা। তারপর পুলিশে ফোন করে জানান, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তদন্তে নেমেই জেনার আচরণে অসংলগ্নতা লক্ষ্য করে তাদের সন্দেহ হয়। তল্লাশি চালানোর সময় বাড়ির ভিতর থেকেই একটা ব্যাগের মধ্যে রেইনারের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জেরা করা শুরু হয় জেনাকে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার নানা রকম গল্প ফাঁদা শুরু করেন তিনি।
পুলিশকে জেনা জানান, ছেলেকে নিয়েই বাথরুমে স্নান করছিলেন। সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যখন ঘুম ভাঙে দেখেন ছেলে পানির উপর উপর হয়ে পড়ে আছে। তবে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, স্নান নয়, খুন করার উদ্দেশেই ছেলেকে বাথরুমে চুবিয়ে মারেন জেনা। পরে যদিও জেনা এই কথাই স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। খুনের অভিযোগে জেনাকে গ্রেফতার করা হয় জেনাকে।
জেরায় পুলিশের কাছে জেনা জানিয়েছেন, ছেলের কান্না শুনতে তার ভালো লাগছিল না। রাগের বশে বাথরুমে চুবিয়ে ধরেন। কিন্তু রেইনারের দেহটা নিথর হয়ে গেলে তাকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন।
জেনার স্বামী এরিক ক্যাঙ্কু স্ত্রীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। তিনি বলেন, মা ছেলেটাকে যেভাবে কষ্ট দিয়ে মেরেছে ভাবা যায় না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন